Tuesday, March 26

:: বুধ ও বৃহস্পতি ১৮ দলের হরতাল ::

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দিযেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।



সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার সকল নেতা-কর্মীর অবিলম্বে মুক্তি, সারাদেশে সরকারের নির্দেশে পরিচালিত গণহত্যার প্রতিবাদে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ও ব্যর্থ, অযোগ্য স্বেচ্চাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ হরতালের ডাক দেয়া হচ্ছে। ২৭ মার্চ সকাল ৬টা থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল পালন করা হবে।’



তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে। খাবার গাড়ি, খাবার দোকান, অ্যাম্বুলেন্স, ফার্মেসি, ডাক্তার, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ি এবং ফায়ার ব্রিগেডগ হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।’



লিখিত বক্তব্যে ফখরুল আরো বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গত চার বছরে দেশ শাসনের নামে যে অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে তাতে দেশের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং জানমালের নিরাপত্তা আজ বিলীন হয়ে গেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিতে সরাসরি গুলিবর্ষণের মতো বর্বরতা শুরু করেছে।’



তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১১ মার্চ বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা অনুমতিতে পুলিশ ডাকাতের মতো হানা দেয়। দরজা ভেঙে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ দলীয় কর্মীদের ন্যক্কারজনকভাবে গণহারে গ্রেপ্তার, মারপিট, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে যা বিশ্ববাসী টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে।’



গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদেরকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত দু’টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ১৫১ জন নেতা-কর্মীকে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।



রাজবন্দীদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম।



তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিএনপি দলীয়ভাবে তিন দিন শোক পালন এবং সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও

রাষ্ট্রীয় শোকের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে সরকারি বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’



সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের ড. রেদোয়ান উল্লাহ শহীদি, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তাফা ভূইয়া প্রমুখ।(banglamail24.com)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়