Wednesday, March 27

!! দুঃসময়ে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি এরশাদের !!

দুঃসময়ে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জিল্লুর রহমান (মিরপুর-বিমানবন্দর) উড়াল সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন । শেখ হাসিনার উদ্দেশে এইচ এম এরশাদ বলেন, সামনে যে সময় আসছে, আপনার পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা কঠিন। জনগণ আপনার সঙ্গে আছে, আমিও আপনার সঙ্গে আছি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এরশাদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারও। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীর আগে এরশাদের বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আগে বক্তব্য দেয়ার জন্য এরশাদের নাম ঘোষণাও হয়েছিল। কিন্তু এরশাদ বক্তৃতার জন্য উঠতে গেলে ওবায়দুল কাদের তাকে থামিয়ে নিজেই বক্তব্য দিতে এগিয়ে যান। সরকারকে সেনাবাহিনীর 'পাশে' থাকার পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, আপনি সেনাবাহিনীকে সাহস জোগাবেন। আপনি ওদের পাশে থাকবেন। ওনারা আপনার পাশে থাকবে।



স্থানীয় সংসদ সদস্য এরশাদ নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে নিজের অসন্তোষও প্রকাশ করেন। �ডিলিমিটেশন হয়েছে, আমার ঢাকা-১৭ আসনের কিছু চলে গেছে ঢাকা-১৬ তে। কিছু ১১ ও ১০এ। আগামীবার আমি আর এই এলাকায় নির্বাচন করতে পারব না।� এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, �প্রাদেশিক সরকার হলে সব জায়গায় হরতালও হত না।� হরতালের বিকল্প কর্মসূচি খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন তিনি। ওবায়দুল কাদেরও হরতালের সমালোচনা করে বলেন, কীভাবে কাজ করব বলুন? গত পাঁচ মাসে পাঁচ হাজার যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। পাঁচশ' যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে গণপরিবহন। এই হিংসার রাজনীতি শেষ হতে হবে।



রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসানে সংঘাতের বদলে সংলাপের ওপর জোর দেন তিনি। যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলেন, এ নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নেই। কাজ চলছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়ক, হাতিরঝিল প্রকল্প, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন এরশাদ। তিনি বলেন, ৩৬ বছর সেনাবাহিনীতে ছিলাম। আট বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। পুরোপুরি রাজনীতিবিদ হতে পারিনি, সৈনিকই থেকে গেছি।(ফেয়ার নিউজ)




শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়