Saturday, March 16

!! মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী !!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহবান আনান। তিনি বলেন, এ দিবসে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করারও শপথ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। সাথে সাথে দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতিও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি। বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই নির্ভীক ও অমিত সাহসী এবং তীক্ষ� বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দৃঢ়চেতা ও রাজনীতি সচেতন। কিশোর অবস্থায়ই নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলি তাঁর মধ্যে ফুটে উঠেছিল।



তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। বিকাশ ঘটে বাঙালি জাতিসত্তার। তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির প্রতিভূ। তাঁর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ক্যারিজ্ম্যাটিক নেতৃত্ব সবাইকে বিমোহিত করত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে 'জাতীয় শিশু দিবস' ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই দিনে সর্বশক্তিমান আল�াহর কাছে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামীদিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠন কাজে আত্মনিয়োগ করেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়নের ধারা নস্যাৎ করে।



বাণীতে তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়। অবৈধ সামরিক সরকার বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুনর্বাসিত করে। জনগণ ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সুদূর পরাহত হয় সংবিধান ও আইনের শাসন। অবাধে চলে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর মিথ্যাচার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আজ কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হয়েছে। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এখন যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারকাজ চলছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া শুরু হয়েছে।(ফেয়ার নিউজ)








শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়