Friday, January 25

কানাইঘাট থানায় দায়েরকৃত পুলিশ এসল্ট মামলার নিখোঁজ আসামী মোহাম্মদ আলীর লাশ সুরমা নদী থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত সোমবার সিলেট শহর থেকে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে শহর সংলগ্ন শাহপরান থানা এলাকার মিরের চকে অজ্ঞাতনামা একদল লোকের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ কানাইঘাট থানার একটি পুলিশ এসল্ট মামলার আসামী মোহাম্মদ আলী (৫০) এর লাশ আজ শুক্রবার মিরের চক সংলগ্ন সুরমা নদীতে পাওয়া গেছে ।তার বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের আগতালুক গ্রামে।  এ ঘটনার খবর পেয়ে শাহপরান থানা পুলিশ বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ আলীর লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা আনোয়ার (১৮),ভাগ্নে আব্দুর রহিম(৩৫) জানান, মোহাম্মদ আলীসহ তারা তিনজন  কানাইঘাট থানায় দায়েরকৃত একটি এসল্ট মামলা থেকে জামিন নেওয়ার জন্য গত সোমবার সিলেট কোর্টে যান । আনোয়ার ও আব্দুর রহিম আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন পেলেও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মোহাম্মদ আলী জামিনের জন্য আদালতে উপস্থিত হননি। মোহাম্মদ আলীর সাথে থাকা ভাতিজা ও ভাগ্নে জানান জামিন পাওয়ার পর রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে শহর থেকে ভাটার গ্রামের মৃত নিজামের উদ্দিনের পুত্র ইমরানের অটোরিক্শা যোগে নিজ বাড়ি আগতালুক গ্রামে ফেরার  পথে মিরেরচক এলাকায় আসামাত্র পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন লোক তাদের গাড়ির গতিরোধ করলে মোহাম্মদ আলী গাড়ী থেকে নেমে দৌড় দেন। পুলিশের পোশাক পরিহিতরা তার পিছু নেয়। এর কিছুক্ষণ পর আরো বেশ কয়েকজন লোক একটি লেগুনা গাড়ী থেকে নেমে মোহাম্মদ আলীকে ফলো করে পিছু নেয়। ভয়ে তারা প্রথমে নিশ্চুপ থাকলেও এক পর্যায়ে অনেক খোঁজাখুজি করে ভাতিজা আনোয়ার ও ভাগ্নে আব্দুর রহিম মোহাম্মদ আলীকে খুঁজে না পেয়ে বাড়ীতে চলে যান। পরদিন সিলেটের সবকটি থানায় যোগাযোগ করেও মোহাম্মদ আলীকে আটক কিংবা তার কোন সন্ধান না পেয়ে গত তিন দিন ধরে মীরের চক এলাকায় অনেক খোঁজাখুজি করার পর আজ বেলা ১২টার দিকে মোহাম্মদ আলীর লাশ সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। লাশের গায়ে কিছুটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চৌধুরী কানাইঘাট নিউজকে জানান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়