Wednesday, November 7

::বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের যাত্রা শুরু::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লাওসের প্রধানমন্ত্রী থংসিঙ থামাভংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, বৈঠককালে দুই প্রধানমন্ত্রী মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য দুরীকরণ, শিক্ষা, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হন।

শেখ হাসিনা লাওস সফরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য থামাভংকে এবং মনোরম ভিয়েনতিয়েন নগরীতে তাঁকে ও তাঁর সফরসঙ্গীদের লাওস সরকার ও দেশটির জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

লাওসে বাংলাদেশের কোন সরকার প্রধানের এই প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, এ সফর দু�দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, লাওসে তাঁর সফর অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে লাওস ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অপর দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ সম্প্রসারণে তাঁর সরকারের লক্ষ্য পূরণ করবে।

লাওসের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শৃংখলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। এছাড়া তিনি নারী ও যুব সমাজের উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্রঋণ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

থামাভং বলেন, লাওস সরকার এ দু�দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।

লাওস প্রধানমন্ত্রী যতদ্রুত সম্ভব ঢাকা সফরে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ও লাওসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

পরে দু�দেশের কর্মকর্তারা দু�দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের ভিসার প্রয়োজনীয়তা উঠিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

দু�দেশের কর্মকর্তারা পারস্পরিক স্বার্থে ভবিষ্যতে দু�দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে সম্মত হন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং লাওসের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থংলুন সিসুলিথ দু�দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাওসের প্রেসিডেন্ট চুম্মালি সেয়াসোনের সঙ্গে তার বাসভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

শেখ হাসিনা লাওসের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তারা দু�দেশের স্বার্থ ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী লাওসের প্রেসিডেন্টকে বলেন, লাওস বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, আইটি বিশেষজ্ঞ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং কৃষি ও নির্মাণ শিল্পের জন্য জনবল নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ নভেম্বর নবম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং সামিট (এএসইএম৯)-এ যোগ দিতে এখানে পৌঁছেন।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়