সদর রাইফেল ব্যাটালিয়ন ইউনিটের মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে তিন বছর আগের বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কার্যক্রম।
শনিবার পিলখানার দরবার হলের এজলাসে এই মামলার রায় দিচ্ছেন বিজিবির ঢাকা সেক্টরের প্রধান কর্নেল এহিয়া আজম খান।
বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২৪৭ জনের বিষয়ে রায় পড়া শেষ হয়েছে, এর মধ্যে ৪৮ জনকে সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা দেয়া হয়েছে। এই ২৪৭ জনের মধ্যে নায়েক সুবেদার মো. ওলিউল্লাহ নামে একজন খালাস পেয়েছেন।
সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৭৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১১ জুলাই বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুই আসামির মৃত্যুতে ৭৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের পর বিডিআর আইনে মোট ৫৭টি মামলা হয়। ৫৭টি মামলার মোট আসামি ৬ হাজার ৪১জন। এর মধ্যে ৫৬টি মামলার রায়ে ৫ হাজার ২০৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। খালাস পেয়েছে ১০৫ জন।
এসব বিদ্রোহ মামলার মধ্যে ২০০৯ সালে ২৪ অক্টোবর প্রথম বিচার শুরু হয় রাঙামাটির ১২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন রাজনগরের ৯ জনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে ২০১০ সালের ২ মে এই মামলার প্রত্যেক আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
বিদ্রোহের মামলার প্রথম রায় হয় পঞ্চগড়ের ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহের ঘটনায়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন। রক্তাক্ত বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বিদ্রোহের মামলার বিচার শেষ হতে চললেও পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের মামলার বিচার চলছে ঢাকার জজ আদালতে। ওই মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়