
প্রতিবছরের মতো আবার ফিরে এসেছে কদরের সেই মহিমান্বিত রাত। হাদিসে বর্ণিত আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বিশেষজ্ঞ আলেমদের অভিমত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানেরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। শবে কদরের পরদিন কাল বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ রাতকে উপলক্ষ করে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্রই মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালা এ রাতে তার অশেষ রহমত, বরকত ও ক্ষমার ভাণ্ডার অবারিত করে দেন। তাই মহিমান্বিত এ রাতের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তর উত্তর উন্নতি ও কল্যাণ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। অর্জন করা যায় তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত। পৃথক এক বাণীতে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলমানেরা নিজেদের পূতপবিত্র করে তোলেন। এরপর শবে কদরের রাতে আল্লাহর অসীম রহমতের দ্বারা পূর্ণতা লাভ করেন এবং মোমিনদের আত্মা অনাবিল শান্তিতে ভরে ওঠে। ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়