কানাইঘাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র হুমায়ুন রশিদ অপহরণের মামলায় চার অপহরনকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাসেম মোঃ মোস্তফা এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা দিতে না পারলে তাদেরকে আরো তিন বছর করে কারাভোগ করতে হবে। রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় তিন আসামী উপস্থিত ছিলেন। একজন পলাতক রয়েছেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন- কানাইঘাট থানার ছোটদেশ গ্রামের মৃতঃ ইছহাক আলী ওরফে বুতু মিয়ার পুত্র মোঃ সাদ উল্যা মাষ্টার (৭৫), একই এলাকার মৃতঃ আব্দুর রহিম মাষ্টারের পুত্র শাহিদুর রহমান (৩৮), সাবেক মেম্বার আপ্তাব উদ্দিনের পুত্র মোঃ নাজিম উদ্দিন এবং জকিগঞ্জ থানার নোয়াগ্রামের মৃতঃ জাবেদ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নুল (৩৫)। এর মধ্যে জয়নাল বর্তমানে পলাতক। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা য়ায়, ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকেলে ছোটদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র হুমায়ুন রশিদ (১৪) স্কুল ছুটি শেষে পাশের বাজারে পিতার রাইছ মিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়। সেখানে তার পিতা ব্যবসায়ী মোঃ আলা উদ্দিন বাজার খরচ করে ছোটদেশ গ্রামের বাড়িতে রাত ৭ টার দিকে তাকে পাঠিয়ে দেন। বাড়ী যাওয়ার পথে শাহিদুর, নাজিম, জয়নাল ও সাদ উল্যা হুমায়ুনকে অপহরন করে জকিগঞ্জের নয়াগ্রাম জয়নালের বাড়ীতে নিয়ে আটক করে রাখে। ওইদিন সে বাড়ী ফিরতে না দেখে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে তাকে না পেয়ে পরদিন কানাইঘাট থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন তার পরিবার। এদিকে অপহরনকারীরা বেনামী (উড়ো) চিঠি এবং হুমায়ুনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তার পরিবারে কাছে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় মোঃ আলা উদ্দিন বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৬ (৮/১২/০৪)। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনার ৫দিনপর জয়নালের বাড়ী থেকে ছাত্র হুমায়ুন রশিদকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী জয়নাল ও শাহিদুরকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কানাইঘাট থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক ২০০৫ সালের ৭ মার্চ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচারকার্য্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত উক্ত আসামীদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে উপরোক্ত দন্ডাদেশ প্রদান করেন। রাষ্টপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মালেক ও আসামীপক্ষে এডভোকেট এটিএম মাসুদ টিপু এবং এডভোকেট শাহ মোঃ মোশাহিদ আলী মামলা পরিচালনা করেন।সূত্র দৈনিক সিলেট সুরমা ১৫ জুন ১২
joy bangla telecom
ReplyDeletem-d forid ahmed
saudi arab makুkah
ওরা মানুষ রুএর যানুয়ার আরও েবিশ সাজা েদওয়া উিইত িইল
ok bye'