Saturday, January 28

কানাইঘাটে সুলতানা হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

নিজাম উদ্দিন:

স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রাম্য সালিশে বার বার বিচার প্রার্থী হওয়ার পরও ন্যায় বিচার না পেয়ে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি না পাওয়া এবং কোলের নবজাতক সন্তান কেড়ে নেওয়ার ঘটনার অপমান সইতে না পেরে গত ২২ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণপুর গ্রামের দরিদ্র আমিনা বেগমের প্রতিবন্ধি কন্যা আত্মহননকারী সুলতানা বেগম (১৮) এর হত্যা মামলাটি আরো অধিকতর তদন্তের জন্য কানাইঘাট থানা থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার সাব ইন্স্পেক্টর শফিক খান নির্দিষ্ট সময়ে মামলাটির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় থানা থেকে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে গত ২৫ জানুয়ারী হস্তান্তর করা হয়। ডিবির ইন্সপেক্টর জুবায়ের আহমদ আলোচিত এ মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর জগদিশকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করেন। সাবইন্সপেক্টর জগদিশ তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে কানাইঘাট বিষ্ণুপুর গ্রামের নিহত সুলতানার বাড়িতে গিয়ে সুলতানার মা আমিনা বেগম এবং এলাকার অনেকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন। উল্লেখ্য যে, স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রাম্য সালিশে বিচার না পেয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্ধি সুলতানা নিজ বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মারা যায়। পরদিন তার লাশ তড়িগড়ি করে দাফন করা হলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে এ নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তার রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হলে কানাইঘাট থানা পুলিশ সুলতানার কথিত প্রেমিক মাদ্রাসা ছাত্র রুবেল আহমদ (১৭) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সুলতানার মা তার মেয়ে সামাজিক গ্লানি ও স্বামী, সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুলতানার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। মৃত্যুর ৩ মাস ২৩ দিন পর গত ১৪ জানুয়ারী সুলতানা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মর্মে ময়না তদন্তের রিপোর্ট কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে আসে। ডিবিতে মামলা হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, সুলতানা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে পোস্টমোডেমর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সুলতানার কথিত প্রেমিক রুবেল আহমদকে গ্রেফতার করা হলেও ডিএনও টেস্টের রিপোর্টে সুলতানার নবজাতক শিশুর জন্মদাতা হিসেবে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি বিধায় মামলাটি অধিকতর তদন্ত ও নবজাতকের প্রকৃত জন্মদাতা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়