কানাইঘাটে সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুর কাজ ৭ বছরেও শেষ হয়নি
সিলেটের কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত জিয়াউর রহমান সেতু’র নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল। কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কানাইঘাট- গাছবাড়ি-সিলেট, কানাইঘাট-দরবস্ত-সিলেট রাস্তার ত্রিমোহনীতে নন্দিরাই-বায়মপুর নামক স্থানে সুরমা নদীর উপর জিয়াউর রহমান সেতুর নির্মাণ কাজে শুভ উদ্বোধন করেছিলেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ব্যয়ভার ধরা হয়েছিল ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৮ টাকা। পরে সেতুটি দু’পারের দু’পার্শ্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং দু’দিকে এপ্রোচ রোডের জন্য ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পৃথক আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে শেষ হলেও এপ্রোচ রোডের কাজ সময়ের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই প্রকল্পগুলো স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পের কাজ ৯শ’ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সময় বেঁধে দিয়েছিল। সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৯৩.৯২ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৯ মিটার ধরা হয়েছিল। ওই সেতুটি মেসার্স আব্দুল মোনায়েম লিমিটেড নির্মাণ করার দায়িত্ব পায়। সিলেট মহানগরী উত্তর পূর্বাংশে কানাইঘাট উপজেলা, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখাসহ উপজেলাগুলোর অবস্থান। সুরমা নদীর কারণে এ অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠেনি। যার ফলে এসব উপজেলার মানুষ সহজেই সিলেট নগরী কিংবা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে যাতায়াত করতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরী ও ফরিদ চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুরমা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান স্মৃতিবিজড়িত কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর তার নামে জিয়াউর রহমান সেতু নামকরণ করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেতুটির প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণাধীন আগের স্থান ডালাইচর-বায়মপুর স্থান থেকে সরিয়ে প্রায় অর্ধ কি. মি. ভাটিতে নন্দিরাই-বায়মপুর এলাকায় পুনরায় সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এ বৃহত্ প্রকল্পটি বিগত জোট সরকারের আমলের প্রতিশ্রুতি এবং সরকারের আন্তরিক ইচ্ছার প্রতিফলন। কানাইঘাটবাসীর ধারণা ছিল যথাসময়েই আলোর মুখ দেখবে। কিন্তু ৭টি বছর অতিবাহিত হলেও সেতুটি এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে অনেকের মনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হবে কি? এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুরমা নদীর ব্রিজ, নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ ও এপ্রোচ রোডের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। অবশিষ্ট যে কাজ বাকি রয়েছে তা মাটির অভাবে শেষ করা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সিলেটের কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত জিয়াউর রহমান সেতু’র নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল। কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কানাইঘাট- গাছবাড়ি-সিলেট, কানাইঘাট-দরবস্ত-সিলেট রাস্তার ত্রিমোহনীতে নন্দিরাই-বায়মপুর নামক স্থানে সুরমা নদীর উপর জিয়াউর রহমান সেতুর নির্মাণ কাজে শুভ উদ্বোধন করেছিলেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ব্যয়ভার ধরা হয়েছিল ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৮ টাকা। পরে সেতুটি দু’পারের দু’পার্শ্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং দু’দিকে এপ্রোচ রোডের জন্য ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পৃথক আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে শেষ হলেও এপ্রোচ রোডের কাজ সময়ের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই প্রকল্পগুলো স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পের কাজ ৯শ’ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সময় বেঁধে দিয়েছিল। সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৯৩.৯২ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৯ মিটার ধরা হয়েছিল। ওই সেতুটি মেসার্স আব্দুল মোনায়েম লিমিটেড নির্মাণ করার দায়িত্ব পায়। সিলেট মহানগরী উত্তর পূর্বাংশে কানাইঘাট উপজেলা, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখাসহ উপজেলাগুলোর অবস্থান। সুরমা নদীর কারণে এ অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠেনি। যার ফলে এসব উপজেলার মানুষ সহজেই সিলেট নগরী কিংবা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে যাতায়াত করতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরী ও ফরিদ চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুরমা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান স্মৃতিবিজড়িত কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর তার নামে জিয়াউর রহমান সেতু নামকরণ করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেতুটির প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণাধীন আগের স্থান ডালাইচর-বায়মপুর স্থান থেকে সরিয়ে প্রায় অর্ধ কি. মি. ভাটিতে নন্দিরাই-বায়মপুর এলাকায় পুনরায় সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এ বৃহত্ প্রকল্পটি বিগত জোট সরকারের আমলের প্রতিশ্রুতি এবং সরকারের আন্তরিক ইচ্ছার প্রতিফলন। কানাইঘাটবাসীর ধারণা ছিল যথাসময়েই আলোর মুখ দেখবে। কিন্তু ৭টি বছর অতিবাহিত হলেও সেতুটি এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে অনেকের মনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হবে কি? এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুরমা নদীর ব্রিজ, নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ ও এপ্রোচ রোডের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। অবশিষ্ট যে কাজ বাকি রয়েছে তা মাটির অভাবে শেষ করা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়