লিবিয়ায় বড় ধরনের অভিবাসীবিরোধী অভিযান চালিয়ে শত শত নারী ও শিশুসহ চার হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গড়গেরেশে এই অভিযান চালানো হয়, যা কর্তৃপক্ষ অভিবাসন ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে জানা গেছে, অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন পাচারকারী বা চোরাচালানকারীকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেনি।
কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছিলেন যে, ৫০০ অ-নথিভুক্ত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে শনিবার রিপোর্ট করা হয়েছে যে, এই সংখ্যা চার হাজারে পৌঁছেছে।
গারগেরেশ অভিবাসী এবং শরণার্থীদের জন্য একটি পরিচিত কেন্দ্র। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) পশ্চিমে। কয়েক বছরে শহরটিতে অভিবাসীবিরোধী অনেক অভিযান হয়েছে। তবে এবারের অভিযানকে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের লিবিয়ার পরিচালক ড্যাক্স রোকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা শুনছি যে নারী ও শিশুসহ ৫০০ এরও বেশি অভিবাসীকে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে এবং তারা অপব্যবহার ও অসদাচরণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, লিবিয়ায় অভিবাসী এবং শরণার্থীরা, বিশেষ করে যাদের দেশে আইনী বৈধতা নেই, তারা প্রায়ই নির্বিচারে আটকের ঝুঁকিতে থাকে। লিবিয়ার আটক কেন্দ্রগুলোতে নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং চাঁদাবাজি ব্যাপকভাবে হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে কয়েক ডজন অভিবাসী তাদের পিছনে হাত বাঁধা অবস্থায় বসে আছে। তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ত্রিপোলির কালেকশন অ্যান্ড রিটার্ন সেন্টার নামক একটি সেন্টারে বন্দিদের জড়ো করা হয়েছিল। এই সেন্টারের পুলিশ প্রধান কর্নেল নুরি আল-গ্রেটলি বলেন, অভিবাসীদের ত্রিপোলি এবং আশপাশের শহরের আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের যতটা সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে। তিনি বলেন, আটককৃতদের অনেকেই লিবিয়ায় বহু বছর ধরে নথিপত্র ছাড়াই বসবাস করছিলেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়