মাহবুবুর রশিদ :
ডা. ইমরান খান রুমেল। সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র প্রভাষক। উনার
স্ত্রী ডা. শারমিন আক্তার অন্তরা একই কলেজে ইন্টার্নি করছিলেন।
পাশাপাশি ৪২ তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার্থী ছিলেন ডা. অন্তরা। এজন্য শুক্রবার (২৬ ফেব্রয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষা দেবার জন্য সকালে নিজ বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছিলেন দুজন।
ডা. অন্তরার স্বপ্ন ছিলো বিসিএস ক্যাডার হয়ে অসহায়,ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার রশিদপুরের অদূরবর্তী ব্রিজের কাছে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮ জন যাত্রীর মধ্যে রয়েছেন ডা. ইমরান।
স্ত্রী ডা. অন্তরার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ডা. ইমরান খান রুমেল ও স্ত্রী ডা. অন্তরা আক্তার প্রতি শুক্রবার কানাইঘাট উপজেলা হাসপাতালের সামনে আজাদ ফার্মেসিতে চেম্বার করতেন।
ডা. ইমরান খান আজাদ ফার্মেসির মালিকানাধীন আজাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আল্ট্রাসনোগ্রাম করতেন এবং স্ত্রী ডা. অন্তরা রোগী দেখতেন। হয়তো স্ত্রী ডা. অন্তরার বিসিএস পরীক্ষা না থাকলে আজ শুক্রবারও তারা আসতেন এই ফার্মেসিতে।
শুক্রবার বিকেলে কথা হয় আজাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাখাওয়াত হোসেনের সাথে,তিনি বলেন, ‘ইমরান স্যার অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। সবার সাথে তার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। খুব সহজেই তিনি সবাইকে মাতিয়ে তুলতেন।’
আজাদ ফার্মেসির নাসির নামের একজন কর্মচারী জানান, ডা. ইমরান খান রুমেল ও তার স্ত্রী ডা. অন্তরা আক্তার আমাদের এখানে প্রতি শুক্রবার আসতেন।
অনেক ভালো মানুষ ছিলেন ডা. ইমরান। অনেক গুরুত্ব দিয়ে রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতেন। উনার মৃত্যু সংবাদ এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
ReplyDelete