Wednesday, October 16

ডিজিটাল ডিভাইস এক্সপোতে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ

জমজমাট আয়োজনে আজ শেষ হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯। মেলায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দেখে প্রযুক্তিপ্রেমিরা আনন্দিত। ডিজিটাল পণ্য এবং তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখতে শুধু ঢাকা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছেন দর্শনার্থীরা। প্রযুক্তিপ্রেমিদের মিলনমেলাতে রুপ নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির এই বড় আসরটি।

আগ্রহ নিয়ে প্রযুক্তির এমন বড় আসরে এসেছে তাসলিম মিয়া। তিনি এমন আবিষ্কার আর উদ্ভাবনে অভিভূত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা এই প্রদর্শনীতে না এলে কেউ বুঝতে পারবে না। ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে যা হচ্ছে আসলে এটাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাত এতো উন্নত হয়েছে তা চোখে না দেখতে বিশ্বাস হবে না। আর প্রদর্শনী জুড়ে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে ভালো লাগছে।
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালমান হাবিব বানিয়েছেন রেস্তোরাঁয় কাজ করে এমন একটি রোবট। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের শিক্ষার্থীদের বানানো ‘স্মার্ট বাসা’ নামের এক যন্ত্র। এর সাহায্যে অ্যাপের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোনো জায়গা থেকে বাসাবাড়ির বাতি, ফ্যান, এসি সব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। স্মার্ট বাসা তৈরিতে খরচ হবে সাত হাজার টাকার মতো। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর দল উদ্ভাবন করেছেন বাংলায় কথা বলা হিউম্যানোয়েড রোবট ‘লি’। লি দেখতে অনেকটা মানুষের মতো। দুই পায়ে হাঁটতে পারে, বাংলা ভাষা বুঝতে পারে, কথা বলতে পারে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এমনকি মানুষের চেহারা মনে রাখতেও পারে। লি মানুষের সঙ্গে করমর্দন করে এবং স্যালুট দেয়।
এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্মাতা বাই-বিট লিমিটেড মেলায় এনেছে তাদের নতুন যন্ত্র পালস ইলেকট্রন ম্যাগনেটিক ফ্লিড। এটি ব্যথা দূর করার একটি যন্ত্র। বেল্টের মতো করে যন্ত্রটি বাঁধা থাকলে এটি শরীরের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্যথা কমে যায়। ঘাড় ও কোমরের ব্যথা নিরসনে এটি কাজ করবে বলে নির্মাতারা জানিয়েছেন। এর দাম আট হাজার টাকা। মেলায় সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এটি। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ঐন্তিলা বিশ্বাস ও তার দল বানিয়েছেন লঞ্চ পর্যবেক্ষণের যন্ত্র।
আয়োজকরা জানান, মেলায় দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য ও উদ্ভাবনকে প্রাধান্য দিয়ে শীর্ষ নতুন উদ্যোগ খুঁজে পেতে মেলার আগে মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচারমূলক কার্যক্রম চালানো হয়। সেখান থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন প্রদর্শিত হচ্ছে মেলায়। আর প্রদর্শনী শেষ হলে তরুণদের শীর্ষ ১০ উদ্যোগকে ১০ লাখ করে মোট ১ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দেয়া হবে। আজ রাত ৮টায় পর্দা নামবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় এই প্রদর্শনী আসরের।
 সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়