ফিচার ডেস্ক:
বলা হয়,বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নারীর আকর্ষণও কমতে থাকে। এই ধারণাটাই ভুল প্রমাণ করে দিলেন ওয়ান্ডা জারজিকা। ১০৮ বছর বয়সেও সবার মন কেড়ে নেয় তার বাজানো পিয়ানোর সুর। তার বাজানো পিয়ানোর সুর যেন তার হাতের পোষা পাখি। যেভাবে ইচ্ছে তাদের নিয়ে নাড়াচাড়া করেন তিনি। আর সেভাবেই তারা সুরে সুরে বাজে। পিয়ানো তার এতটাই প্রিয় যে রোজ যন্ত্রে সুর না তুললে ঘুম আসে না পোল্যান্ডের ওয়ান্ডার। আরো অবাক করা ঘটনা, ৮০ বছর বয়সে তার হাত ভেঙে গিয়েছিল। চিকিৎসক বলেছিলেন, আর কোনোদিন আগের মতো স্বাভাবিক হবে না তার হাত। কিন্তু চিকিৎসকের সেই ভবিষ্যবাণীকেও মিথ্যা প্রমাণ করেন তিনি।
পশ্চিম ইউরোপের লিভিলে বড় হওয়া ওয়ান্ডা ছোট
থেকেই পিয়ানো বাজাতে ভালোবাসতেন। ১৯৩১-এ লিভিল থেকেই মিউজিক নিয়ে স্নাতক
হন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় তার অতি সাধের
বাজনা। ১৯৪৪-এ ওয়ান্ডার পরিবার চলে আসেন পোল্যান্ডের ক্রাকো শহরে। আবার
শুরু হয় তার পিয়ানো চর্চা। কাঠের গায়ে সূক্ষ কারুকাজ করা পিয়ানোটি
উত্তরাধিকারী হিসেবে ওয়ান্ডা পেয়েছেন তার মায়ের কাছ থেকে। এটাও তার কাছে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আজও যখন প্রতিদিন পিয়ানোয় বসেন ওয়ান্ডা, কান পেতে
তার বাজনা শোনেন প্রতিবেশিরা।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়