Tuesday, July 2

গর্ভাবস্থায় যেসব ফল ভুলেও খাবেন না

গর্ভাবস্থা প্রত্যেক প্রসূতির জন্য একদিকে যেমন খুশির কারণ, অন্যদিকে থাকে আশঙ্কা। আশার কথা, সাধারণভাবে শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটে সুষ্ঠুভাবে। তবে বাকি ৫ থেকে ১০ ভাগ মায়ের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে অস্বাভাবিকতা বা জটিলতা। এ জন্য চাই প্রসূতিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতা। কারণ, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং চিকিৎসা না হলে মা ও শিশু উভয়ের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং পরবর্তী সময়ের বিপজ্জনক সমস্যাগুলো কখনো কখনো সতর্কসংকেত ছাড়াই হঠাৎ দেখা দিতে পারে। তবুও সব দম্পতিকে এবং আত্মীয়স্বজনকে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভের লক্ষণ, বিপদের পূর্বাভাস ও মারাত্মক লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যেকোনো খারাপ অবস্থার জন্য আগে থেকে মানসিক ও অন্যান্য প্রস্তুতি না থাকলে সমূহ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে এমন কোনো খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তবে এ সময়ে আমরা অনেক ধরনের ফল খেয়ে থাকি। তবে কিছু ফল আছে যা মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ফল থাকে। তবে কিছু ফল আছে যা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমন কোনো ফল খাওয়া যাবে না। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় যেসব ফল ভুলেও খাবেন না।
আনারস: গর্ভাবস্থায় আনারস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ সময় আনারস খেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
আঙুর: গর্ভাবস্থায় আঙুর খেলে মর্নিং সিকনেসের প্রবণতা বাড়ে।এছাড়া ওই মায়েরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।
তেঁতুল: গর্ভাবস্থায় তেঁতুল না খাওয়া ভালো। তেঁতুলে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমায়। শরীরে এই হরমোন কমে গেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। তখন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
পেঁপে: পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স জরায়ুর সংকোচন ঘটায়। ফলে এ সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
কলা: গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বা অ্যালার্জি থাকলে কলা খাওয়া ঠিক নয়। এতে থাকা কাইটিনেজ উপাদান ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
তরমুজ: তরমুজ শরীরে আর্দ্রতা বজায় রেখে টক্সিন দূর করে। তবে টক্সিন বের হওয়ার সময় গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ অতিরিক্ত টক্সিনের সংস্পর্শে এলে তা ক্ষতিকারক।
খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া উচিত নয়। খেজুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার ফলে পেশীর সংকোচন হয়। জরায়ুর পেশী সংকুচিত হলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। সূত্র : নিউজ এইট্টিন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়