Saturday, June 22

মন ভোলাতে ঘুরে আসুন ভোলাগঞ্জ

বৃষ্টির ভেলায় চড়ে মন ভোলাতে যেতে পারেন ভোলাগঞ্জ। ধলাই নদের অসাধারণ রূপ, সারি সারি পাথর তোলার দৃশ্য, সবুজ পাহাড়ে বন্দী সাদা পাথর আর পাহাড় থেকে পাথরছুঁয়ে গড়িয়ে পড়া স্ফটিক-স্বচ্ছ জল যে দেখবে সে-ই মুগ্ধ হবে।

এখানে এলে দেখতে পাবেন- চারদিকে সাদার রঙা পাথর আর পাথর। সামনে সবুজ পাহাড়, সেখান থেকে গড়িয়ে পড়ছে প্রচণ্ড স্রোতের স্বচ্ছ শীতল জল, আর সে জলের সঙ্গে আছে সাদা পাথরও। কতটা অপরূপ, কতটা মনোমুগ্ধকর তা বলে বোঝানোর নয়। মন ভোলানো মনোমুগ্ধকর এই ‌ভোলাগঞ্জ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
ভোলাগঞ্জে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অবস্হান। মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে বর্ষাকালে ঢল নামে। ধলাই নদীতে ঢলের সঙ্গে নেমে আসে পাথর। পরবর্তী বর্ষার আগমন পর্যন্ত চলে পাথর আহরণ। এই সাদা পাথরের দেশ দেখতে সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে সিএনজিতে উঠে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর এল সি ঘাটে যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ১৪০ টাকা, সময় লাগবে প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বর্ষাকালে জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে সাদা পাথর গড়িয়ে আসে ধলাই নদীতে। তাই এই নদীতে পাথরের বিপুল মজুদ। এই পাথর দিয়ে পঞ্চাশ বছর চালানো যাবে- এই হিসাব ধরে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প। সাদা পাথর ও তার স্বচ্ছ জল দেখতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে ধলাই নদী ও খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় আর সীমান্ত এলাকার মতোই সমান জনপ্রিয় রোপওয়েটি। যদিও ১২ বছর ধরে রোপওয়েটির বেকার জীবর-যাপণ।
মজার ব্যাপা হল, এলাকাটি দেখতে অনেকটা ব-দ্বীপের মতো। ধলাই নদী বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে প্লান্টের চারপাশ ঘুরে আবার একীভূত হয়েছে। এ কারণেই স্থানটি পর্যটকদের কাছে এত আকর্ষণীয়।
শুষ্ক মৌসুমে এলে দেখা যায় পাথর আহরণের দৃশ্য। প্রধানত গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করা হয়। ৭/৮ ফুট নিচু গর্ত খোঁড়ার পর কোয়ারিতে পানি উঠে যায়। পানি উঠে গেলে শ্যালো মেশিন দিয়ে কোয়ারির পানি অপসারণ করে শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করে। এর বাইরে ‘শিবের নৌকা’ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করা হয়।
 সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়