নিউজ ডেস্ক:
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিকরা। বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার
প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব। ট্যাক্স আদায় বাড়াতে
হবে। আমার সময় শতকরা ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। এবারের বাজেট উপস্থাপন
খুব সুন্দরভাবে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বাজেট এর সার-সংক্ষেপ
তুলে ধরেছেন। এটি একটা নতুনত্ব।’
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এ বাজেট গণমুখী বাজেট। করের বোঝা নেই। ব্যবসায়ীরা এতে খুশি হবেন।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-একাংশ) সভাপতি ও এমপি মঈনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘এ বাজেট বাস্তবায়নই বড় কথা।’
গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট গণমুখী বাজেট। এ বাজেটে গ্রামকে শহর করার কথা বলা আছে।’
সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাজেটে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
ঋণখেলাপি বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা নেই।’ বিপুল অংকের এই বাজেট
বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি।
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক
ইনু বলেছেন, ‘এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য। গত ১০ বছরে সরকার যে বাজেট দিয়েছে
তা বাস্তবায়ন হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও রাজস্ব আয় বাড়াতে এই বাজেট
সক্ষম।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর বড়
অর্জন। এ বাজেট অর্জনযোগ্য। তবে স্বাস্থ্য-শিক্ষাখাতে বরাদ্দের টাকা
সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়া নজর রাখতে হবে।’
বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ এমপি বলেন, ‘এই
বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব তা আগে বলা যাবে না। কৃষি বিপর্যস্ত। কৃষকরা
সর্বস্বান্ত। বিদ্যুৎ লুটপাট-চুরি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়ন বড়
চ্যালেঞ্জ। বাজেট বক্তৃতায় অনেক ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে। তবে জনগণের ভালো
হয় এমন কথা বলা নেই। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণখেলাপি, পুঁজিবাজার
লুটপাটের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
সূত্র:
ডেইল বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়