Tuesday, May 14

অতি বৃদ্ধ বা অক্ষম ব্যক্তির রোজা

নুসরাত জাহান::

বার্ধক্য বা জটিল কোনো রোগের কারণে যার রোজা রাখার সামর্থ একেবারেই নেই এবং পরে কাজা করার সামর্থ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই এমন ব্যক্তির রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া প্রদান করবে।

ফিদইয়া হলো, একজন মিসকিনকে দু’বেলা তৃপ্তিসহ খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দেয়া। একে সদকা ফিতরও দেয়া যায়। অর্থাৎ পৌনে দুই কেজি গম বা তার মূল্য। 
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর যাদের জন্য রোজা অত্যন্ত কষ্টকর হয় তারা এর পরিবর্তে ফিদইয়া তথা মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। (সূরা বাকারা ২ : ১৮৪) এক রোজার পরিবর্তে এক ফিদইয়া ওয়াজিব হয়। (আদদুররুল মুখতার ২/৪২৬) 
যাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেয়ার হুকুম রয়েছে তারা রমজান শুরু হওয়ার পর পুরো মাসের ফিদইয়া একত্রে দিয়ে দিতে পারবে। (আদদুররুল মুখতার ২/৪২৭)
যাদের ওপর ফিদইয়া জরুরি নয় দুই শ্রেণির মানুষ (অর্থাৎ দুর্বল বৃদ্ধ ও এমন রোগী, বাহ্যত যার রোজা কাজা করার শক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই) ছাড়া আরো যাদের জন্য রোজা ভেঙ্গে করা জায়েজ আছে (যেমন মুসাফির, গর্ভবতী ও শিশুকে দুগ্ধদানকারিনী ইত্যাদি) তারা ওজরের কারণে রোজা না রাখলে রোজার ফিদইয়া দেবে না; বরং পরে কাজা করবে। আর যদি ওজর অবস্হায় মারা যায় তাহলে তাদের ওপর কাজাও নেই, ফিদইয়ার অসিয়ত করাও জরুরি নয়। অবশ্য ওজর শেষ হওয়ার পর কাযার সময় পেয়েও যদি কাজা না করে থাকে অতঃপর মৃত্যু মুখে পতিত হয়, তাহলে ওজরের পর যে ক’দিন রোজা রাখার সময় পেয়েছে সে ক’দিনের জন্য ফিদইয়ার অসিয়ত করে যেতে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২৩-৪২৪)
যাদেরকে ফিদইয়া দেয়া যাবে: এক রোজার ফিদইয়া একজন মিসকিনকে দেয়াই উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকে দিলেও ফিদইয়া আদায় হবে। তদ্রুপ একাধিক ফিদইয়া এক মিসকিনকেও দেয়া জায়েজ। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২৭)
সুস্হতা ফিরে পেলে ফিদইয়ার বিধান: অক্ষম বৃদ্ধ ও মৃত্যুমুখে পতিত রোগী যদি সুস্হতা ফিরে পায় এবং আবার রোজা রাখতে পারে তাহলে তাদের ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর কাজা করতে হবে। এক্ষেত্রে আদায়কৃত ফিদইয়ার জন্য আলাদা সওয়াব পাবে। (আদদুররুল মুখতার ২/৪২৭)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়