নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে যৌতুকের দাবিতে এক নববিবাহিতাকে শ্বাশুড়ী, দেবর, ননদ, ননড়ী মিলে মারধর করে আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আহত নববিবাহিতা শারমীন বেগম (১৯) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতের মা উপজেলার ধলিবিল দক্ষিণ গ্রামের প্রবাসী ছয়ফুল আলমের স্ত্রী নাছিমা বেগম সহ স্বজনরা জানান, অনুমান ৫ মাস পূর্বে শারমীন বেগম কে দিঘীরপার ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র ওমান প্রবাসী ফয়ছল আহমদের ৭ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ে হওয়ার কিছুদিন পর শারমীন বেগমের স্বামী ফয়ছল প্রবাসে চলে যাওয়ার পর থেকে মোটা অঙ্কের যৌতুকের দাবিতে নব বিবাহিতা শারমীন বেগম কে তার স্বামী ফয়ছলের ইন্দনে তার মা নেহারা বেগম, বড় ভাই কয়ছর, ছোট ভাই রাসেল সহ বোনেরা মিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
যৌতুক বাবৎ ২ লক্ষ টাকা দাবীর প্রেক্ষিতে শারমীনের পরিবার দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করলে ও অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা পিত্রালয় থেকে আনার জন্য শারমীন কে চাপ প্রয়োগ করে তার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন। শারমীন যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে নব বিবাহিতা শারমীন বেগম কে শ্বাশুড়ী, দেবর, ননদ, ননড়ী মিলে গলায় গামছা পেচিয়ে শাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে আহত করে।
খবর পেয়ে তার মা নাছিমা বেগম সহ তার স্বজনরা শারমীন বেগম কে শ্বশুড় বাড়ী থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
বর্তমানে সে মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নব বিবাহিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৪ মার্চ ২০১৯ ইং
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়