Thursday, February 7

কলা সম্পর্কিত মজাদার কিছু তথ্য!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:

সকালের নাস্তায়, দুপুরের খাবারের পরে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় চা নাস্তার ফাঁকে কলা খেয়ে থাকি না এমন লোক পাওয়া খুবই ভার। 

দামে সাশ্রয়ী এবং ভিটামিনে ভরপুর এই কলার স্বাদও অতুলনীয়। শুধু ফল হিসেবেই নয় অনেকেই কলার তরকারী, চিপস এমনকি কলার তৈরি আইসক্রিমও খেতে পছন্দ করেন। কলা যেমনটা সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য উপকারী।
আসুন আজ জেনে নেয়া যাক এই কল্যাণময়ী কলা সম্পর্কিত কিছু মজাদার তথ্য-
১। ১০ সেন্টের বিনিময়ে ১৮৭৬ সালে ফিলাডেলফিয়ার বাণিজ্য মেলায় প্রথম ফয়েল কাগজে মুড়িয়ে কলা বিক্রি করা হয় । তখন থেকে এই ফলটিকে ইংরেজিতে ডাকা হয় “ব্যানানা” বলে।
২। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেকোনো ব্যক্তির যদি কলা খেলে এলার্জি হয়ে থাকে অর্থাৎ কলাতে যার এলার্জি আছে সে যদি ক্ষীর জাতীয় খাবার খায় সেখানেও তার এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকগুণ। কলাতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন থাকে যার ফলে অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে।
৩। ২০১১ সালে কালামাযোতে কলার প্রতিকৃতি দিয়ে একটি বিশাল আকৃতির ট্রাক বানানো হয়। ট্রাকটি লম্বায় প্রায় ২৩ ফিট এবং উচ্চতায় প্রায় ৯.৮ ফিট। 
৪। পূর্বে আমরা যে প্রজাতির কলা খেয়ে থাকতাম এখন আর সে প্রজাতির কলা খেয়ে থাকি না। বর্তমানে কৃষকরা নতুন প্রজাতির কলা চাষ করে থাকে। পূর্বে যে প্রজাতির কলা আমরা খেয়ে থাকতাম তা বর্তমান প্রজাতির থেকে  অধিক মিষ্টি ছিলো।
৫। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে তিল জাতীয় “জট” এর দেখা দিতে পারে। একে অনেকে চর্মকীলও বলে থাকে। টানা দুই সপ্তাহ কলার ছোকলার ভিতরের অংশ জটের স্থানে দিয়ে রাখা হলে তা ঠিক হয়ে যেতে পারে।
৬। কলা আসলে একপ্রকার বেরি জাতের ফল, ঠিক জামের মত। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে স্ট্রবেরি কিন্তু বেরি জাতের ফল নয়। বেরি জাতের ফল হচ্ছে সেগুলো যাদের ফলের ভিতরে বীজ রয়েছে, বাইরে নয়। স্ট্রবেরির বাইরের দিকে বীজ থাকে তাই নামের ভেতর বেরি শব্দ থাকা সত্ত্বেও এটি বেরি জাতের ফল নয়।
৭। কলায় পটাসিয়াম থাকে। তাই যারা বেশি বেশি কলা খায় তাদের স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই ডাক্তাররা হৃদরোগে ভোগা রুগীদের বেশি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৮। একবার ২০১৬ সালের লন্ডন ম্যারাথনে এক ব্যক্তি কলার ন্যায় পোশাক পরে ২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ড দৌড়ে ছিলেন। 
৯। আমরা সাধারণত কলা উপর থেকে নিচে ছিলে থাকি কিন্তু বানরেরা করে এটার ঠিক উল্টোটা । বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে বানরের পদ্ধতিতে কলার ছোকলা ছিলতে মানুষের থেকে কম সময় লাগে।
১০। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ৩৩.৫৭ গ্রাম কলা খেয়ে থাকে।
১১। কলার ছোকলার তেল চামড়ার প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে
১২। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। পরে কলা পাঁকতে শুরু করলে এই শর্করা চিনিতে রুপান্তরিত হতে থাকে।
১৩। ২০১২ সালে এক ইলিনয় বাসিন্দা কলা খেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তিনি ৬০ সেকেন্ডে ৮টি কলা ভক্ষণ করতে সক্ষম হন।
১৪। কলার প্রায় ৭৫ শতাংশ পানি দ্বারা পরিপূর্ণ । 
১৫। কলা’কে ল্যাটিন ভাষায় বলা হয়ে থাকে “মুসা সেপিয়েন্তাম” যার বাংলা অর্থ হলো “জ্ঞানী মানুষের ফল”
১৬। কলার উৎপাদন অযৌন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি কলা আরেকটি কলার স্রেফ ক্লোন।
১৭। ২০১৪ সালে একটি দলকে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়ে থাকে। তারা গবেষণা করে বের করেছিলো কোন কারণে কলা এত পিচ্ছিল। পরে দেখা যায় কলায় এক প্রকার পলিস্যকারাইড থাকে যার ফলে তারা এত পিচ্ছিল। এই স্যাকারাইড মানুষের হাড়ের সংযোগস্থলেও থাকে।
তাই পরিশেষে বলা যায় মানবজাতির জন্য কলা সত্যিই অতুলনীয় । বেশি করে কলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়