Sunday, October 29

‍‌"শামসুর রহমান স্মৃতি বৃত্তি এ বছরে ৩০০০ বই পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করবে"


বিগত ২০ অক্টোবর ২০১৭ সিলেট শহরের সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সিলেট বিভাগের ৫ ম ও ৮ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শামসুর রহমান স্মৃতি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বর্তমান মেয়র আরিফুল হক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশ গ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বছর শামসুর রহমান স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা ১৮ তম থেকে ১৯ তম’এ যাত্রা শুরু করলো। বিগত ১৭ বছরে শামসুর রহমান স্মৃতি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০০ হাজার। এবারের বৃত্তি বিতরণ সহ নানা প্রসঙ্গ জানতে চেয়েছিলাম শামসুর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জিবলু রহমানের কাছে। 
তার সাথে কথপোকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো---- মাহবুবুর রশিদ।
কানাইঘাট নিউজ : শামসুর রহমান স্মৃতি বৃত্তি কত সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
জিবলু রহমান : ধন্যবাদ। ১৯৯৮ সালের ২৬ জানুয়ারী গোয়াইনঘাটের ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৫ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূলত এ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। পরবর্তীতে শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে ১৯৯৯ সাল থেকে সিলেট সদর ও পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
 কানাইঘাট নিউজ : বর্তমানে কোনো কোনো শ্রেণীতে শামসুর রহমান স্মৃতি বৃত্তি চালু আছে। 
জিবলু রহমান : সিলেট বিভাগের ৫ ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০০ মার্কের ইংরেজী ও অংল পরীক্ষা নেয়ার মাধ্যমে বৃত্তি পরীক্ষা চালু আছে। 
কানাইঘাট নিউজ : আপনাদের খাতা মূল্যায়ন হয় কিভাবে?
 জিবলু রহমান : অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী প্রথমে আমাদের খাতা মূল্যায়ন করেন। পরে আবার শিক্ষদের ৫ সদস্যের একটি কমিটি ‘খাতা মূল্যায়ন সঠিক’ হয়েছে কিনা তা বিবেচনা করে দেখেন। 
কানাইঘাট নিউজ : তাহলে বলা যায় ২ বার খাতা মূল্যায়ন হয়। 
জিবলু রহমান : অবশ্যই। সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশা করে আমাদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদেরতো নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে ফলাফল দিতে হবে।
 কানাইঘাট নিউজ : আপনারা এ বছর কতজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করবেন। 
জিবলু রহমান : এটাতো ফলাফল না আসলে বলা মুশকিল। আমাদের ফলাফল নির্ধারিত হয় কম্পিউটারের সফটওয়ারের মাধ্যমে। অনেক সময় আবেদনপত্রে উল্লেখিত নির্দিষ্ট ঘোষণার পরও বৃত্তির সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া কোটা বৃত্তিতো রয়েছেই। আমার আশংকা এবারে বৃত্তির সংখ্যা প্রায় ৬০০ হতে পারে। চূড়ান্ত সংখ্যা আসলে ফলাফল ঘোষণায় সময়ই পাওয়া যাবে। 
কানাইঘাট নিউজ : যদি ৬০০ হয় তাহলে এরা কী পুরস্কার পাবে? 
জিবলু রহমান : আমরা বিগত ৫ বছর থেকে সাটিফিকেট প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যউপযোগী গল্প-রম্য রচনা, ইতিহাস, সংস্কৃতির উপর বই প্রদান করছি। বর্তমানে শামসুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘শ্রীহট্ট প্রকাশ’-এর মাধ্যমে বই মূদ্রণ হচ্ছে। 
কানাইঘাট নিউজ : এবারে কতগুলো বই দিতে পারেন। 
জিবলু রহমান : প্রায় ৩০০০ কপি বই বিতরণ করার জন্য শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন ও ‘শ্রীহট্ট প্রকাশ’ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। 
কানাইঘাট নিউজ : বৃত্তিতে বই বিতরণ-বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে আছে কী? 
জিবলু রহমান : অবশ্যই। আমাদের পদক্ষেপ ফলো করে এক সময় দেখেবেন সিলেট বিভাগের বিদ্যালয়-কলেজ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলো তাদের বিভিন্ন পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করছে।
 কানাইঘাট নিউজ : তাতে লাভ কী হবে? 
জিবলু রহমান : লাভতো আছেই। একজনের বই ক্রয় করলে সে আরো বেশি লেখার ও জানার চেষ্টা করবে। নতুন আরেকজন লিখতে চেষ্টা করবে। প্রকাশকরা ভিন্ন মাত্রার স্বাদ পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারবে। দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে।
 কানাইঘাট নিউজ : আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
 জিবলু রহমান : আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য কানাইঘাট নিউজ পরিবারকেও ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়