Saturday, January 7

গুলিতেই দুই জঙ্গি নিহত: চিকিৎসক

গুলিতেই দুই জঙ্গি নিহত: চিকিৎসক

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা নূরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেনের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। আজ শনিবার সকালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন তিনি।

ময়না তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, 'আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার সময়ে দুই জঙ্গির ময়না তদন্ত শুরু করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর সোয়া ১১টার সময়ে তাদের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। জঙ্গি নেতা মারজানের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর অপর জঙ্গি সাদ্দাম হোসেনের শরীর থেকে তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।'

গুলিতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে এই চিকিৎসক বলেন, 'নিহতদের শরীর থেকে থাই মাসেল সংগ্রহ করা হয়েছে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ে জন্য। অন্যদিকে ভিসেরা রক্ত প্রসাব সংগ্রহ করে রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে নিহত দুই জঙ্গি কোন শক্তি বর্ধক নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি খেয়েছিল কিনা।'

গত বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মপুরের রায়েরবাগ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন গুলশান হলি আর্টিজান হামলার মাস্টার মাইন্ড নূরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন। পরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত নূরুল ইসলাম মারজান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেলে আরবী বিভাগে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়েন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেন রাজশাহীতে বাংলা ভাইয়ের হাত ধরে জেএমবিতে যোগ দেন। বাংলাভাইয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরে তিনি আত্মগোপনে থেকে রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসি কুনিওসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচটি হত্যায় মামলায় অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি হত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি সাদ্দাম হোসেন।

গতকাল গণমাধ্যমকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে সাদ্দাম হোসেনের মা বলেছেন, 'আমার ছেলে অপরাধ করেছে তার শাস্তিও পেয়েছে এখন যদি সরকারি খরচে তার লাশটি ফেরত দেওয়া হয় তাহলে দাফন করতে চাই।'

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, 'নিহত জঙ্গিদের লাশ নিতে চাইলে প্রথমে ঢাকায় এসে তার লাশ সনাক্ত করতে হবে। এরপর তাদের স্বজনরা যদি আবেদন করে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'

গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পর পুলিশের অভিযানে ৩১ জন জঙ্গি নিহত হন। এদের মধ্যে ছয়জনের লাশ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বাকী জঙ্গিদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করেন

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়