Wednesday, December 14

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন ! জমে উঠেছে ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য পদের প্রচারনা


নিজাম উদ্দিন: আগামী ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা পরিষদের ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্ধ পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনা জোরদার করেছেন। বসে নেই জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য প্রার্থীরা। জেলা পরিষদের নির্বাচনে শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিটি ওয়ার্ডের একজন করে সদস্য নির্বাচিত করবেন। কিন্তু এ নির্বাচনকে ঘিরে ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত কানাইঘাটের ৯টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও পাশ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ১টি ইউনিয়নে সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এ দু’টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থক ও শুভাকাংখীরা প্রতিদিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ধারস্ত হয়ে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোট চাচ্ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে কালো টাকার ছড়াছড়িও শুরু হয়েছে। ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। আ’লীগ গরনার প্রার্থীরা এ দু’টি ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে অনেক ডাকসাইড নেতাও রয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের পোষ্টারে পৌর শহর এবং বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশ এলাকা একাকার হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও পুরোধমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রচারনার দিক থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এ দু’টি ওয়ার্ডে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. লুৎফুর রহমান এবং নাগরিক কমিটির মনোনীত প্রার্থী শিক্ষাবিদ এনামুল হক সর্দার এগিয়ে রয়েছেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৪নং ওয়ার্ড কানাইঘাট উপজেলার কানাইঘাট পৌরসভা, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী, ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপি এবং জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল, খলাছড়া, বিরশ্রি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দার (হাতি) ও বারহাল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা মোঃ জাকির আহমদ চৌধুরী (বৈদ্যুতিক পাখা), জেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক (টিউবওয়েল), কানাইঘাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র কানাইঘাট উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফখরুদ্দিন শামীম (অটোরিক্সা), যুবলীগ নেতা ইমাম উদ্দিন চৌধুরী (তালা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অপরদিকে কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল, ৬নং সদর, ৩নং দিঘীরপার পূর্ব, ৪নং সাতবাঁক, ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ৩নং চারিকাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৫নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কানাইঘাট সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ৩নং দিঘীর পার পূর্ব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী (ক্রিকেট ব্যাট), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এড. মোঃ আব্দুল খালিক (তালা), উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক রিংকু চক্রবর্তী (হাতি), আ’লীগ নেতা হাজী মোঃ আলমাছ উদ্দিন (ঘুড়ি), জাসদ নেতা মোঃ কবির উদ্দিন (বৈদ্যুতিক পাখা), আবুল কালাম আজাদ (অটোরিক্সা), কন্ট্রাক্টর মোঃ সালেকুর রহমান (টিফিন ক্যারিয়ার) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দু’টি ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে বিএনপি ও জামায়াতের কোন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় এ দু’টি দল থেকে নির্বাচিত ভোটার চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের ভোট যে প্রার্থী বেশি পাবেন বিজয়ের মালা তার গলায় উঠবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। বিশেষ করে জেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত অর্ধশতাধিক উপরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের ভোট যে প্রার্থী বেশি পাবেন সদস্য পদে তিনি নির্বাচিত হবেন। বিএনপি সমর্থিত বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা গেছে যেহেতু জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছেন কিন্তু ভোট আমাদের দিতে হবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের আমরা ভোট দেব। নির্বাচনকে ঘীরে উৎসবের পাশাপাশি কালো টাকারও ছড়াছড়ি শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক সদস্য প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার পায়তারা করছেন। এক্ষেত্রে এ দু’টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কৌশলী ভূমিকার আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য প্রার্থীরা বসে নেই। পুরুদমে তারা নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নারীনেত্রী কানাইঘাটের নাজমা সুলতানা চৌধুরী (দোয়াতকলম), মনিজা বেগম (হরিন), জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগ নেত্রী সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী (ফুটবল), জোসনা বেগম (ঘড়ি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়