কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সেনার
বলে নয়, শত্রুপক্ষকে অস্ত্রের জোরে ঘায়েল করার পরিকল্পনা এবার চীনের। এ
নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা চলছে। গত মাসে সবাইকে অবাক করে দিয়ে চীনা
প্রেসিডেন্ট জাই জিনপিং ঘোষণা করেন, গণমুক্তি ফৌজে সেনার সংখ্যা ৩ লক্ষ
কমানো হবে। স্থল, নৌ, বায়ুসেনা মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহিনী চীনের। মোট
সেনা ২৩ লক্ষ। অর্থাৎ ১৩ শতাংশ ছাঁটাই করা হবে।
সেনা কমানো হবে বিভিন্ন বাহিনী থেকে। তার বদলে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামে সেনাকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বেজিং। এর মধ্যে উল্লেখ্য এক ধরনের বোমারু বিমান যা গোপনে শত্রু শিবিরে হানা দিতে পারে। প্রতিপক্ষ দেশের ভূখণ্ডে ওই বিমান ঢুকে পড়লেও তা নজরে আসবে না শত্রুসেনার। নয়া ক্ষেপণাস্ত্র সেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিউনিস্ট পার্টি। সব দেশের সেনার হাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধের জন্য পালটা ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। উপগ্রহ মারফত শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি জানা যায়। চিন এমন ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভাবছে যা বিরোধী শিবিরের উপগ্রহে ধরা পড়বে না। নজর এড়িয়ে নিখুঁত নিশানায় আছড়ে পড়বে ওই চিনা ক্ষেপণাস্ত্র।
চীনের অর্থনীতির হাল ভালো নয়। আর্থিক বৃদ্ধির হার কমায় অনিশ্চয়তা ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিরক্ষা বাজেটের নিরিখে বিশ্বে চীনের স্থান দ্বিতীয়, আমেরিকার পরেই। বাজেটের প্রায় ২ শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক খাতে। কিন্ত্ত, এই ব্যয়ভার আর বহন করতে পারছে না চীনের কোষাগার। তাই সেনা হ্রাস করে বিকল্প পথ খুঁজছে ড্রাগনের দেশ। যে সেনারা চাকরি হারাবেন, তাঁদের জন্য অবশ্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করবে সরকার। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
গণমুক্তি ফৌজের সংস্কারের সিদ্ধান্ত ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা চলছে। বলা হচ্ছে, শুধু ছাঁটাই নয়, সেনার বেতন কমে যাবে। কমে যাবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। অর্থনীতির হাল না শুধরোলে আরও ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক বছরে। এই জল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। কমিউনিস্ট নেতৃত্বের আশঙ্কা, এ সব কথা যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ফৌজের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। তাই চীনা সেনা শুক্রবার কড়া বিবৃতি জারি করেছে। তাদের দাবি, স্বঘোষিত প্রতিরক্ষাবিদেরা ভিত্তিহীন কথা বলছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,চিনা সেনারা এ সব গুজবকে চিহ্নিত করতে পারবেন। কিন্ত্ত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সত্যি-মিথ্যা বুঝতে না পেরে বিভ্রান্ত হবেন। এর পিছনে শত্রুপক্ষের হাত দেখছে গণমুক্তি ফৌজ। তাদের বক্তব্য,শত্রু শিবির ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে সেনাবাহিনীর সংস্কার প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করতে চাইছে।
চীন সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বিক্ষোভ। বেজিংয়ে বিক্ষোভ দেখা যায় না বললেই চলে। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা একেবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বুধবার। প্রবীণ সেনাকর্মীদের অভিযোগ অবসরকালীন ভাতা নিয়ে। তাঁরা মাসে ৫০ ডলার পেনশন পান। এখন এই পেনশন অনেকটা বেড়ে গেলেও তাঁরা কম হারে ভাতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। অবসরের পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরি পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্ত্ত, সরকার সেই কথাও রাখেনি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিপুল ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে। তার অঙ্ক ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। তাই সেখানে প্রবীণ সেনাকর্মীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে নেই বললেই চলে। ছাঁটাইয়ের সঙ্গে প্রাক্তনীদের প্রতিবাদ চীনা সেনার কাছে নেতিবাচক বার্তাকেই জোরালো করবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষাবিদেরা। সেটাই জিনপিং সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে।
সেনা কমানো হবে বিভিন্ন বাহিনী থেকে। তার বদলে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামে সেনাকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বেজিং। এর মধ্যে উল্লেখ্য এক ধরনের বোমারু বিমান যা গোপনে শত্রু শিবিরে হানা দিতে পারে। প্রতিপক্ষ দেশের ভূখণ্ডে ওই বিমান ঢুকে পড়লেও তা নজরে আসবে না শত্রুসেনার। নয়া ক্ষেপণাস্ত্র সেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিউনিস্ট পার্টি। সব দেশের সেনার হাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধের জন্য পালটা ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। উপগ্রহ মারফত শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি জানা যায়। চিন এমন ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভাবছে যা বিরোধী শিবিরের উপগ্রহে ধরা পড়বে না। নজর এড়িয়ে নিখুঁত নিশানায় আছড়ে পড়বে ওই চিনা ক্ষেপণাস্ত্র।
চীনের অর্থনীতির হাল ভালো নয়। আর্থিক বৃদ্ধির হার কমায় অনিশ্চয়তা ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিরক্ষা বাজেটের নিরিখে বিশ্বে চীনের স্থান দ্বিতীয়, আমেরিকার পরেই। বাজেটের প্রায় ২ শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক খাতে। কিন্ত্ত, এই ব্যয়ভার আর বহন করতে পারছে না চীনের কোষাগার। তাই সেনা হ্রাস করে বিকল্প পথ খুঁজছে ড্রাগনের দেশ। যে সেনারা চাকরি হারাবেন, তাঁদের জন্য অবশ্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করবে সরকার। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
গণমুক্তি ফৌজের সংস্কারের সিদ্ধান্ত ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা চলছে। বলা হচ্ছে, শুধু ছাঁটাই নয়, সেনার বেতন কমে যাবে। কমে যাবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। অর্থনীতির হাল না শুধরোলে আরও ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক বছরে। এই জল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। কমিউনিস্ট নেতৃত্বের আশঙ্কা, এ সব কথা যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ফৌজের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। তাই চীনা সেনা শুক্রবার কড়া বিবৃতি জারি করেছে। তাদের দাবি, স্বঘোষিত প্রতিরক্ষাবিদেরা ভিত্তিহীন কথা বলছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,চিনা সেনারা এ সব গুজবকে চিহ্নিত করতে পারবেন। কিন্ত্ত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সত্যি-মিথ্যা বুঝতে না পেরে বিভ্রান্ত হবেন। এর পিছনে শত্রুপক্ষের হাত দেখছে গণমুক্তি ফৌজ। তাদের বক্তব্য,শত্রু শিবির ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে সেনাবাহিনীর সংস্কার প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করতে চাইছে।
চীন সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বিক্ষোভ। বেজিংয়ে বিক্ষোভ দেখা যায় না বললেই চলে। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা একেবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বুধবার। প্রবীণ সেনাকর্মীদের অভিযোগ অবসরকালীন ভাতা নিয়ে। তাঁরা মাসে ৫০ ডলার পেনশন পান। এখন এই পেনশন অনেকটা বেড়ে গেলেও তাঁরা কম হারে ভাতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। অবসরের পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরি পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্ত্ত, সরকার সেই কথাও রাখেনি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিপুল ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে। তার অঙ্ক ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। তাই সেখানে প্রবীণ সেনাকর্মীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে নেই বললেই চলে। ছাঁটাইয়ের সঙ্গে প্রাক্তনীদের প্রতিবাদ চীনা সেনার কাছে নেতিবাচক বার্তাকেই জোরালো করবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষাবিদেরা। সেটাই জিনপিং সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়