Sunday, June 12

গর্ভাবস্থার পর যেভাবে পেটের মেদ কমাবেন

গর্ভাবস্থার পর যেভাবে পেটের মেদ কমাবেন

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সন্তান জন্ম দেওয়া একজন নারীর জীবনে অনেক কঠিন বিষয়। বিশেষ করে সিজারিয়ান হলে পেটের মেদ কমিয়ে আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে অনেক সময় লাগে।

গর্ভধারণের পর মায়ের ওজন এত সহজে কমে না। বেশির ভাগ নারীই তাদের এই পরিবর্তিত অবস্থা নিয়েই জীবন অতিবাহিত করেন।

কারণ, তারা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে এই সাময়িক পরিবর্ধিত পেট কমানো সম্ভব। সিজারের পরে কিছু নিয়ম পালন করলে পাকস্থলী আবার ঠিক হতে পারে।

তবে যেকোনো ধরনের পেটের মেদ কমানো খুব সহজ নয় এবং সিজার করলে অবস্থাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়। কারণ, তখন স্ট্যান্ডার্ড অ্যাবডমিনাল এক্সারসাইজ করা যায় না। তবে বিকল্প উপায়ে সিজারিয়ান-পরবর্তী পেটের মেদ কমানো যায়। আসুন জেনে নেই কিছু বিষয় :

১. সি সেকশনের পরে পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায় হচ্ছে প্রাণায়াম করা। এতে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।

২. পেটের মেদ কমাতে চাইলে আপনাকে শুধু খাওয়া, ঘুমানো ও ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় ছাড়া সর্বক্ষণ পেটের বেল্ট পরে থাকতে হবে। এটা অনেক বিরক্তিকর হলেও আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

৩. সি সেকশনের পরে ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। বাচ্চাকে ছয় মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর সাহায্যে আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।

৪. পানি শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনি হয়তো অবাক হবেন এটা শুনে যে, পানি অন্ত্র থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে ক্ষুধা কম লাগবে ও পেট ভরা থাকবে।

৫. প্রসবের পরে প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে প্রেগন্যান্সি হরমোন পরিভ্রমণ করে এবং শরীরের সব চর্বি ঢিলেঢালা থাকে। এই চর্বি ঘনীভূত হয়ে জমাট বেঁধে গেলে ওজন কমানোটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। সাধারণ কিছু ব্যায়াম শুরু করুন, যেমন—হাঁটা।

৬. বাচ্চাকে দুধ দিলে বাড়তি শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রোটিন, ফল ও সবজি খেতে হবে। তবে ঘি, মাখন ও মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৭. সিজারিয়ান অপারেশনের পরে কিছুদিন ভারী ব্যায়াম করতে পারবেন না। তাই বলে আগের অবস্থা ফিরে পাবেন না ভেবে হতাশ হবেন না। ধৈর্য ধরুন। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিন এবং চেষ্টা করুন। আপনি অবশ্যই পেটের মেদ কমাতে পারবেন।

৮. স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে খাওয়ার জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মাবে না। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তাই বলে অনাহারে থাকবেন না। এটা আপনার ও আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়