Thursday, December 18

`মৃত` হেফাজতকর্মী ফারুক বেঁচে আছেন


চট্টগ্রাম: বাবা-মা ভেবেছিলেন মারা গেছে ছেলে। জানাজাও হয়েছে গায়েবানা। কুলখানি ও চেহলামও হয়েছে ধর্মীয় রীতি মেনে।কিন্তু সেই ‘মৃত ছেলে’ আল ফারুকের খোঁজ মিলেছে। মৃত নন, তিনি বেঁচে আছেন। ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গিয়ে আর ফিরে না আসা ফারুককে ১৯ মাস পর উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকার 'মিছকিন শাহ মাজার' থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ফারুক রাজধানীর বাড্ডার 'উম্মুল ক্বোরা ইসলামিক একাডেমির' পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। সে কুমিল্লার চান্দিনা থানার নবাবপুর শিংগাডা এলাকার সোলায়মান বিন মোবারকের ছেলে। জানতে চাইলে ডিবির এসআই রাজেশ বড়ুয়া জানান, আল ফারুক রাজধানীর বাড্ডার 'উম্মুল ক্বোরা ইসলামিক একাডেমির' পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চে সেও গিয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। তিনি জানান, শাপলা চত্বরে পুলিশের অভিযানে ফারুক মারা গেছে ভেবে তার গায়েবানা জানাজা, কুলখানি এমনকি এ বছর মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করেছে তার মা-বাবা। এসআই রাজেশ বড়ুয়া জানান, প্রায় একমাস আগে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে নিজেকে ফারুক পরিচয় দেয় এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে গত ১০ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন নিখোঁজ ফারুকের মা। তিনি জানান, বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে 'মিছকিন শাহ মাজার' এলাকা থেকে ফারুককে উদ্ধার করা হয়। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরদিনই সে চট্টগ্রাম চলে আসে এবং এতদিন বিভিন্ন মাজারে আত্মগোপনে ছিল। নগর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, 'শাপলা চত্বরের ঘটনার পর থেকে সে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে আত্মগোপনে ছিল বলে আমাদের জানিয়েছে।' ১৩ দফা দাবিতে ওই বছরের ৫ মে 'ঢাকা অবরোধ' ও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ কর্মসূচি ডাকে হেফাজতে ইসলাম। ওই দিন রাজধানীতে তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গভীর রাতে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতকর্মীদের সরিয়ে দিতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। ওই অভিযানে বিপুল হতাহতের অভিযোগ করেছিল হেফাজত। অথচ নিহতদের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি তারা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়