Monday, December 8

ভেজাল ওষুধের কারখানা মালিকের দুই বছরের জেল


ঢাকা : পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় ধনুষ্টংকারের ইনজেকশন, এ্যান্টিবায়োটিকসহ ছয় ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও ভেজাল ওষুধ তৈরীর একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এর মালিককে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আকবর হোসেন ভাষানী (৪০)। সোমবার বিকালে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম আনোয়ার পাশা। র‌্যাব সূত্র জানায়, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বংশাল থানার ছয় নম্বর খিলঘর কসাইটুলী লেনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নামী-দামী ব্র্যান্ডের নকল এ্যান্টিবায়োটিক, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরির সময় কারখানাটির মালিক আকবর হোসেন ভাষানীকে হাতে নাতে ধরা হয়। অভিযানকালে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ভাষানী ১ হাজার টাকা দামের ধনুষ্টংকারের ইনজেকশন বানাচ্ছিল। কেমিস্ট কোম্পানির ২ টাকা দামের ব্যথানাশক ইনজেকশন এট্রোপাইনের লেবেল ওই ইনজেকশনের উপরে লাগাচ্ছিল। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের এ্যানট্রাক দিয়ে হৃদরাগের ওষুধ স্টাকোর বানাচ্ছিল। নাকের ড্রপ বানাচ্ছিল পানি দিয়ে! এছাড়া ব্যাথার ওষুধ রোলাক, এন্টিবায়োটিক ক্রজিথোমাইসিন নাকের ড্রপ বায়নোবলসহ মোট ছয় ধরনের নকল ওষুধ বানাচ্ছিল। অভিযুক্ত ভাষানী গত দুই বছর ধরে ঘরে বসেই নিখুঁতভাবে বিভিন্ন ওষুধ নকল করছেন। এসব নকল ওষুধ পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের পাইকারী বাজারের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রয়ও করে আসছিল। এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মোড়ক, লেভেল, ফয়েল, বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ভাষানী যে ওষুধগুলো বাজারে বেশী চলে সেগুলোর ফয়েলের ভিতরে কম দামের ওষুধ ভরে বাজারজাত করে আসছিল। ভাষানী ষষ্ঠ শ্রেণী পাশ করে এসকল নামী-দামী ওষুধ তৈরি করছে। যে ওষুধের দাম বেশী ও বাজারে চলে বেশী সেই ওষুধ নকল করতে ওষুধের ব্লিস্টার ফয়েলের মত দেখতে একই রকম কমদামি ও অন্য কোনো ওষুধের ফয়েলের উপর ছাপ রাসায়নিক দিয়ে মুছে ফেলে। এর উপরে দামী ওষুধের ছাপ মেরে নকল ওষুধ বানাচ্ছিল। ছাপ দেওয়ার জন্য স্কিন ও বিশেষ ধরনের কালি ব্যবহার করেন ভাষানী। র‌্যাব-১০ এর ওই অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধ মাহবুব হোসেন ও ঢাকার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়