Monday, November 3

আশুরার আমল রোজা


আশুরার পবিত্র দিবসটি ঈমানদার জাতির জন্য নেয়ামত ও মুক্তির স্মারক। কেননা এ দিনে অতীতের অনেক দাম্ভিক জালিমশাহীর শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে এবং হজরত আম্বিয়ায়ে কেরাম শত্রুর কবল থেকে মুক্তিলাভ করেছেন। এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তারা এদিন রোজা রেখেছেন। মহানবী (সা.) উম্মতকে আশুরার একমাত্র আমল হিসেবে রোজা পালন করতে শিক্ষা দিয়েছেন। আশুরার রোজা সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, 'এটি এক বছরের গোনাহের কাফফারা স্বরূপ।' (সহিহ বোখারি)। এ রোজার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। সর্বনিম্ন পর্যায় হলো শুধু আশুরা দিবসে রোজা রাখা। আর এর উপরের ধাপ হলো আশুরা দিবসের সঙ্গে ৯ তারিখেও রোজা রাখা। এরও উপরের পর্যায় হলো আরও বেশি রোজা রাখা; কেননা মহররম মাসে যত বেশি রোজা রাখা যায় ততই উত্তম। ইমাম নববি (রা). বলেছেন: আমাদের মাজহাবের ওলামা ও অন্যান্য আলেমরা, নয় তারিখের রোজার বেশ কয়েকটি তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন : এক. এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইহুদিদের বিরুদ্ধাচরণ করা, কেননা তারা কেবল ১০ তারিখেরই রোজা রাখত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। দুই. ১০ তারিখের রোজার সঙ্গে অন্য আরেক দিনের রোজা সংযুক্ত করা। উদাহরণস্বরূপ রাসূলুল্লাহ (সা.) শুধু শুক্রবারে ভিন্নভাবে রোজা রাখা থেকে বারণ করেছেন। তিন. ১০ তারিখের রোজা যাতে নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন হয় তারই সতর্কতা হিসেবে নয় তারিখেও রোজা রাখা; কেননা চাঁদের হিসাব-নিকাশে ভুল হতে পারে, অতঃপর ৯ তারিখেই ১০ তারিখ হতে পারে। রোমানা আক্তার

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়