Thursday, November 6

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের নেপথ্যে লো-ভোল্টেজ


কানিউজ ডেস্ক : গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সারা দেশে একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় অভ্যন্তরীণ সমস্যা লো-ভোল্টেজের কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. কায়কাউস আহমেদ। তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ৮ সদস্যের কমিটির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ড. আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল কেন্দ্রস্থল ভারত থেকেই এর সূত্রপাত। আমাদের তদন্ত কাজও শুরু হয় সেখান থেকেই । এতে যে তথ্য এসেছে তাতে স্পষ্ট যে, তাদের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। আমাদের অভ্যন্তরীণ লো-ভোল্টেজের কারণেই বরং এটি ঘটেছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে যে পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, তাতে দুইটি লাইন রয়েছে। বাংলাদেশের লো-ভোল্টেজের কারণে ভারতের সরবরাহ আসতে না পারলে তাদের ওভার লোডেড ভোল্টেজ জমা হয়ে যায়। সে জন্য তারা বিকল্প লাইনের ব্যবস্থা করে পূর্বের লাইন বন্ধ করে দিয়েছে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারি, অভ্যন্তরীণ গ্রিডের ফেইলিওরের কারণেই বিপর্যয় ঘটে থাকতে পারে। যা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরো ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর (রোববার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও একই মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সমিশন দুর্বল। সে কারণে হয়েছে, আর কোনো কারণ নাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লাইন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন অনেক দুর্বল। বলা হয়েছে ভারতের সমস্যার কারণে হয়েছে। কিন্তু না, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে হয়েছে। কারণ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন হলো আলাদা বিষয়। তবে ওখানে প্রথম যে শব্দ হলো, দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি তদারকি করা হয়েছে। সমস্যা হওয়ার কারণে তারা বুদ্ধিমানের মতো বন্ধ করে দিয়েছে।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়