ঢাকা: আফ্রিকার গিনিতে কুখ্যাত ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ
হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা একে চিহ্নিত করছেন পুরোপুরি অভাবিত আক্রমণ হিসেবে। কেননা
ধারণা করা হতো ইবোলা ভাইরাসের কাল শেষ হয়ে গেছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি সংগঠন মেদিসিন স্যানস ফ্রন্তিয়ারস-এর
ডাক্তাররা গিনিতে অবস্থান করছেন এবং অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেছেন।
সংগঠনটির অন্যতম আহ্বায়ক মারিয়ানো লুগলি জানান, এতো ব্যাপক মহামারীর সম্ভাবনার মুখোমুখি তারা এর আগে কখনও হননি।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইবোলা ভাইরাস গিনিতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার ১২২ জনকে চিহ্নিত
করেছে। এদের মধ্যে ৭৮ জনের ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে।
রোববার পাশ্ববর্তী দেশ লাইবেরিয়ায় ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম
ব্যক্তিটির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মৃত
নারীর সংক্রমিত বোনকে রাজধানী মনরোভিয়ার একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে
রাখা হয়েছে।
এছাড়া গিনির আরেক প্রতিবেশি দেশ সিয়েরা লিওনেও ৫ ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে, যাদের শরীরের ইবোলার সংক্রমণ হতে পারে।
আক্রান্ত দেশসমূহের প্রতিবেশি দেশগুলোতে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। সেনেগাল গিনির
দিকের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে যেন গিনির আক্রান্ত কেউ সে দেশে প্রবেশ করতে
না পারে। এছাড়া সীমান্তবর্তী সাপ্তাহিক বাজারও বন্ধ করে দিয়েছে।
ইবোলা ভাইরাস মূলত প্রাইমেট জাতীয় প্রাণীতে সংক্রমিত হয়। এর মধ্যে পড়ে
মানুষ, শিম্পাঞ্জীসহ অন্যান্য বানরগোত্রী প্রাণী। এ ভাইরাসে আক্রান্ত
প্রাণীর শরীরে প্রথমে গোটা গোটা দাগ দেখা দেয়। পরে সেগুলো ফুলে ফেটে যেতে
থাকে। রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়।
সর্বপ্রথম কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইবোলা নদীর তীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ
দেখা দিয়েছিল বলে নদীর নামানুসারে ভাইরাসটির নাম রাখা হয় ইবোলা ভাইরাস।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
লিড নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়