Saturday, September 28

শেরপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

শেরপুর: পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে শেরপুর পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পলিটেকনিকের ভিতর ভাংচুর শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পলিটেকনিকের বাইরে অবস্থানরত পুলিশ পলিটেকনিকের ভিতরে ঢুকে লাঠি চার্জ করেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের উপর। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। সেইসাথে তারা পলিটেকনিকের নিজস্ব মাইক্রোবাসসহ ল্যাবরোটরি কক্ষ, বিভিন্ন কক্ষের সকল দরজা-জানালা, আসবাবপত্র মূল্যবার জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। এরপর তারা পলিটেকনিকের ৫ তলার ছাদের উপর উঠে পলিটেকনিকের সামনে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থানরত পুলিশের উপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এদিকে পলিটেকনিকের বাইরে অবস্থানরত আশপাশের বিভিন্ন মেচের শিক্ষার্থীরাও সংগবব্ধ হয়ে রাস্তায় অবস্থানরত পুলিশকে লক্ষ করে রাস্তার দুই প্রান্ত থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ প্রথমে টিয়ারসেল এবং পরে সর্টগানের গুলি (রাবার বুলেট) নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্র পরিনত হয়। এভাবে প্রায় ৪ ঘন্টা চলে থেমে থেমে সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। অবশেষে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পলিটেকনিকের ভিতরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে মুহুমুহু রাবার বুলেট, ছুড়তে ছুড়তে পলিটেকনিকের ভিতরে প্রবেশ করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। এতে বিক্ষুদ্ধ শক্ষার্থীরা পিছু হটে পলিটেকনিকের পেছন দিয়ে পালাতে থাকে। পুলিশের ব্যাপক তল্লশি ও অভিযান চালিয়ে পলিটেকনিকের ভিতরের বিভিন্ন কক্ষ থেকে শাতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করে। এসময় পুলিশ শিক্ষাথীদের কাছ থেকে অসংখ্য হাতুরি, দা, বটিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংর্ঘষের সময় পুলিশের রাবার বৃুলেট ও ইটের আঘাতে শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. সালাহ উদ্দিন সিকদারসহ প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য এবং আরো প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীসহ অর্ধশত জন আহত হয়। এদিকে পলিটেকনিকের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহর থেকে আরো পুলিশ এবং র‌্যাব আসলে পরিস্থিতি নিযন্ত্রনে আসে। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শেষ হয় বিকাল ৩টায়। এজন্য ৪ ঘন্টা ঢাকাÑশেরপুর যান চলাচল বন্ধ থাকে। এদিকে এ সংর্ঘষ ও ভাংচুরের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবী, পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচী চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে লাঠি চার্জ করেছে। অপরদিকে শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন সিকদার দাবী করেছে, শিক্ষার্থীরা প্রথমে পলিটেকনিকের দারজা-জানালা ভাংচুর এবং বাইরে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে পুলিশের উপর হামলা চালালে আত্মরক্ষায় পুলিশ প্রথমে টিয়ার সেল এবং পরবর্তিতে বাধ্য হয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়