সুনামগঞ্জ: রাস্তার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজার ও জাউয়াবাজারে ব্যাপক যানজটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জাউয়াবাজার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় এই বাজারটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শত শত দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত রাস্তার উপর স্থায়ী ও ভাসমান দোকানপাট স্থাপনের মাধ্যমে নির্বিচারে বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও তাদের নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর পদক্ষেপই কাজে আসছেনা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে এসব অবৈধ স্থাপনা যৌথবাহিনী উচ্ছেদ করলেও বর্তমান সরকারের আমলে গত সাড়ে চার বছরে উচ্ছেদকৃত জায়গায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় আবার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। ফলে সুনামগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তাটি পারাপারে যাত্রী সাধারণ ও বাস চালকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
একইভাবে স্থানীয় বটেরখাল ব্রিজের দু‘পাশে গোবিন্দগঞ্জ বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায়ই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রিজের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্ট যানজট সারাতে ট্রাফিক, হাইওয়ে ও থানা-পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে খেতে হয় হিমশিম। বটের খালের উপর নির্মিত পুরাতন এ ব্রিজটি প্রশস্থতা কম থাকায় প্রায়ই এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। জাউয়াবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান সড়ক কেন্দ্রিক বাজার দুটি গড়ে উঠায় যানজটের সৃষ্টি হয়।দায়িত্বরত ট্রাফিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশেষ করে ট্রাফিক সিগনাল না জানা অদক্ষ ফোরষ্ট্রোক ড্রাইভারদের কারণেও এ যানজটের সৃষ্টি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দুটি মালিক সমিতি ও কর্মরত ট্রাফিকরা গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়েও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাফিকরা যানজট নিরসনের চেয়ে টাকা আদায়ের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। ক্ষোভের সাথে এসআই কালাম বলেন, ফোরষ্ট্রোক দেশের জন্য একটি অভিশাপ। সরকার ফোরষ্ট্রোক আমদানী করে ভূল করেছে। অদক্ষ ও অপ্রতিরোধ্য ড্রাইভারদের কারণেই যানজট নিরসন করা যাচ্ছেনা। স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী জানান, অতিরিক্ত বিয়ের গাড়ীর জন্যও অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক স¤পাদক আল-হেলাল বলেন, জেলার প্রধান দুটি হাটবাজারে যানঝটের নেপথ্যে মূল কারণ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। মোবাইল কোর্টের অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে কেবলমাত্র ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই পারেন যানজট নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, জেলার প্রধান সড়কে প্রধান দুটি হাটবাজারকে কেন্দ্র করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি। অতীতে ব্যবসায়ীদেরকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউই তাতে কর্ণপাত করেননি। এখন জেলার ২৫ লাখ নাগরিকের স্বার্থে সুবিধাজনক সময়ে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ককে যানজট মুক্ত করবোই।--ডিনিউজ
একইভাবে স্থানীয় বটেরখাল ব্রিজের দু‘পাশে গোবিন্দগঞ্জ বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায়ই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রিজের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্ট যানজট সারাতে ট্রাফিক, হাইওয়ে ও থানা-পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে খেতে হয় হিমশিম। বটের খালের উপর নির্মিত পুরাতন এ ব্রিজটি প্রশস্থতা কম থাকায় প্রায়ই এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। জাউয়াবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান সড়ক কেন্দ্রিক বাজার দুটি গড়ে উঠায় যানজটের সৃষ্টি হয়।দায়িত্বরত ট্রাফিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশেষ করে ট্রাফিক সিগনাল না জানা অদক্ষ ফোরষ্ট্রোক ড্রাইভারদের কারণেও এ যানজটের সৃষ্টি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দুটি মালিক সমিতি ও কর্মরত ট্রাফিকরা গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়েও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাফিকরা যানজট নিরসনের চেয়ে টাকা আদায়ের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। ক্ষোভের সাথে এসআই কালাম বলেন, ফোরষ্ট্রোক দেশের জন্য একটি অভিশাপ। সরকার ফোরষ্ট্রোক আমদানী করে ভূল করেছে। অদক্ষ ও অপ্রতিরোধ্য ড্রাইভারদের কারণেই যানজট নিরসন করা যাচ্ছেনা। স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী জানান, অতিরিক্ত বিয়ের গাড়ীর জন্যও অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক স¤পাদক আল-হেলাল বলেন, জেলার প্রধান দুটি হাটবাজারে যানঝটের নেপথ্যে মূল কারণ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। মোবাইল কোর্টের অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে কেবলমাত্র ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই পারেন যানজট নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, জেলার প্রধান সড়কে প্রধান দুটি হাটবাজারকে কেন্দ্র করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি। অতীতে ব্যবসায়ীদেরকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউই তাতে কর্ণপাত করেননি। এখন জেলার ২৫ লাখ নাগরিকের স্বার্থে সুবিধাজনক সময়ে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ককে যানজট মুক্ত করবোই।--ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়