Tuesday, August 20

কানাইঘাটে জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে গেছে বালু উত্তোলণকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 আজ মঙ্গলবার কানাইঘাট সুরমা নদীর উমরগঞ্জ-ছোটদেশ ডাইকের দক্ষিণ পাড় থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ও ড্রেজার শ্রমিকদের সাথে নয়াগ্রাম-কোণাগ্রামের লোকজনদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সিলেট শহরের ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন মাস খানেক পূর্ব থেকে কানাইঘাট উমরগঞ্জ-ছোটদেশ ভাঙ্গন কবলিত সুরমা নদীর ডাইকের দক্ষিণ পাড়ের কোনাগ্রাম ও নয়াগ্রামের কৃষিক্ষেতের চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। কৃষি জমির পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জকিগঞ্জের বারহাল ইউপির কোনাগ্রাম ও নয়াগ্রামের লোকজন বালু উত্তোলনকারী লোকজনদের নিষেধ করেন। লীজ গ্রহিতা আফতাব উদ্দিন বালি উত্তোলনে বাধা দান কারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে  মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বালি উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করলে কোনাগ্রাম ও নয়াগ্রামের কয়েকশত লোক লাঠিসোটা নিয়ে ড্রেজার শ্রমিকদের ধাওয়া দিলে তারা নদী সাঁতরিয়ে কানাইঘাটের ছোটদেশ গ্রামে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতার রোশানলে পড়ে সেখান থেকে পুলিশ দ্রুত নিরাপদে চলে যায়। এ ব্যাপারে সুরমা নদীর লীজ দাতা গ্রহীতা আফতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৈধভাবে জকিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের কাছ থেকে নয়াগ্রাম ও কোনাগ্রাম সুরমা নদীর চর এলাকার লীজ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বালি উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। অপরদিকে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতিদিন তাদের কৃষি জমির পাশ থেকে গড়ে ২৫/৩০হাজার ফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদী ভাঙ্গনের আশংঙ্কায় বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ও ড্রেজার শ্রমিকরা তাদের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান। 


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়