নওগাঁ: নওগাঁ শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামে একটি বেসরকারী সংস্থা শনিবার সকালে প্রায় এক হাজার আমানতকারীর আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। অধিক লাভের আশায় এসব আমানতকারীরা তাদের সর্বস্ব আমানত করেছিলেন।
সদরের তিলকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে এই প্রতিষ্ঠাটির অবস্থান। সর্বস্ব হারানো আমানতকারীদের কান্নার আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এবং নওগাঁ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ঐ গ্রামের রাশেদুল ইসলাম নামে এক যুবক বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামে প্রতিষ্ঠান খুলে মঙ্গলপুর, বোয়ালিয়া, অন্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, দূর্গাপর, ফতেপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের প্রতি লাখে মাসিক আড়াই হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রত্যাশায় এসব সঞ্চয় গ্রহন করে।
উক্ত রাশেদের বাড়ি জেলার বদলগাছি উপজেলার বিলাসবাড়ি গ্রামে। তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নানার বাড়ি মঙ্গলপুর গ্রামে আশ্রয় নেয়। ২০০৫ সালে প্রথমে সে মাদার নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে সংগঠনের নাম দেয়া হয় দেশ উন্নয়ন। সর্বশেষে সমবায় বিভাগের রেজিষ্ট্রেশন গ্রহন করে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয় বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি।
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকজন এ প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় করেছেন। এলাকার মৃত আফছার আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ ২লাখ ৬০ হাজার, মৃত রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র আমজাদ ৩ লাখ ও আলতাফ হোসেন ১ লাখ, তছির সরদারের পুত্র আবুল কাশেম ৪ লাখ, হারান সরদারের পুত্র সমোজাহা সরদারের ৩ লাখ ৫০, মৃত বাবুর আলীর পুত্র সোবহান ১ লাখ, সোবাহানের পুত্র মোজাম সরদার ১ লাখ ২ হাজার, তাহের আলীর পুত্র আনিছুর ১ লাখ ৫০ হাজার, প্রবাসী স্বামী মাহমুদুর ইসলামের স্ত্রী বিদেশ থেকে পাঠানে সমুদয় ৫ লাখ ৫০ হাজার, রমজান আলীর স্ত্রী চাতাল শ্রমিক রেজিয়া বেগম মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সমুদয় ৮৫ হাজার, জহির সরদারের পুত্র ফেরদৌস ১ লাখ ৮২ হাজার, আবেদ আলী সরদারের পুত্র বারিক ১ লাখ, আব্দুর রাজ্জাক ১ লাখ ১০ হাজার, মজিদের স্ত্রী বেগম ১ লাখ ১০ হাজার, বাদেশ আলীর পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন ৪ লাখ, মৃত ফরেজ আলীর পুত্র মহাতাব আলীর ১ লাখ ৫০ হাজার ও মহাতাব আরীর পুত্র রানার ১ লাখ টাকাসহ প্রায় এক হাজার আমানতকারীর উল্লেখিত পরিমান টাকা সঞ্চিত রয়েছে ঐ প্রতিষ্ঠানে।
ইতোপূর্বে ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত উক্ত রাশেদের মামা মোখলেছুর রহমান আমানতকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সংগঠনের দুটি পৃথক সভায় ভাগ্নের পক্ষে জিম্মাদার হয়ে টাকা সঞ্চয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলেন। ঐ দুটি সভায় সভাপতিত্ব করিছেলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। বর্তমানের বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন রাশেদের নানা হাবিবুর রহমান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, উক্ত রাশেদ গত ২ দিন পূর্বে তার মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ ঈদগাহ পাড়ায় তার নানার বাড়িতে পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে।(ডিনিউজ)
সদরের তিলকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে এই প্রতিষ্ঠাটির অবস্থান। সর্বস্ব হারানো আমানতকারীদের কান্নার আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এবং নওগাঁ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ঐ গ্রামের রাশেদুল ইসলাম নামে এক যুবক বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামে প্রতিষ্ঠান খুলে মঙ্গলপুর, বোয়ালিয়া, অন্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, দূর্গাপর, ফতেপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের প্রতি লাখে মাসিক আড়াই হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রত্যাশায় এসব সঞ্চয় গ্রহন করে।
উক্ত রাশেদের বাড়ি জেলার বদলগাছি উপজেলার বিলাসবাড়ি গ্রামে। তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নানার বাড়ি মঙ্গলপুর গ্রামে আশ্রয় নেয়। ২০০৫ সালে প্রথমে সে মাদার নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে সংগঠনের নাম দেয়া হয় দেশ উন্নয়ন। সর্বশেষে সমবায় বিভাগের রেজিষ্ট্রেশন গ্রহন করে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয় বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি।
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকজন এ প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় করেছেন। এলাকার মৃত আফছার আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ ২লাখ ৬০ হাজার, মৃত রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র আমজাদ ৩ লাখ ও আলতাফ হোসেন ১ লাখ, তছির সরদারের পুত্র আবুল কাশেম ৪ লাখ, হারান সরদারের পুত্র সমোজাহা সরদারের ৩ লাখ ৫০, মৃত বাবুর আলীর পুত্র সোবহান ১ লাখ, সোবাহানের পুত্র মোজাম সরদার ১ লাখ ২ হাজার, তাহের আলীর পুত্র আনিছুর ১ লাখ ৫০ হাজার, প্রবাসী স্বামী মাহমুদুর ইসলামের স্ত্রী বিদেশ থেকে পাঠানে সমুদয় ৫ লাখ ৫০ হাজার, রমজান আলীর স্ত্রী চাতাল শ্রমিক রেজিয়া বেগম মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সমুদয় ৮৫ হাজার, জহির সরদারের পুত্র ফেরদৌস ১ লাখ ৮২ হাজার, আবেদ আলী সরদারের পুত্র বারিক ১ লাখ, আব্দুর রাজ্জাক ১ লাখ ১০ হাজার, মজিদের স্ত্রী বেগম ১ লাখ ১০ হাজার, বাদেশ আলীর পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন ৪ লাখ, মৃত ফরেজ আলীর পুত্র মহাতাব আলীর ১ লাখ ৫০ হাজার ও মহাতাব আরীর পুত্র রানার ১ লাখ টাকাসহ প্রায় এক হাজার আমানতকারীর উল্লেখিত পরিমান টাকা সঞ্চিত রয়েছে ঐ প্রতিষ্ঠানে।
ইতোপূর্বে ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত উক্ত রাশেদের মামা মোখলেছুর রহমান আমানতকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সংগঠনের দুটি পৃথক সভায় ভাগ্নের পক্ষে জিম্মাদার হয়ে টাকা সঞ্চয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলেন। ঐ দুটি সভায় সভাপতিত্ব করিছেলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। বর্তমানের বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন রাশেদের নানা হাবিবুর রহমান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, উক্ত রাশেদ গত ২ দিন পূর্বে তার মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ ঈদগাহ পাড়ায় তার নানার বাড়িতে পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়