Wednesday, June 12

শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ঢাকা : পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শুক্রবার হতে যাচ্ছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

নানা বিষয় থাকলেও প্রার্থীদের কাছে এবারের নির্বাচনে মূল এজেন্ডা হিসেবে কাজ করছে অর্থনীতি। তবে যে দলই জয়ী হোক তাকে ভঙ্গুর অর্থনীতি ও পরমাণু কর্মসূচির মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আর মাত্র একদিন বাদেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ও স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন। প্রচার -প্রচারণায় মেতে উঠেছে রক্ষণশীল ও সংস্কারপন্থি দলগুলোর প্রার্থী ও সমর্থকেরা। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে ৮ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

কিন্তু পরে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই পক্ষ একজন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা, সুশাসন, সিভিল সোসাইটি ও পররাষ্ট্র নীতির চাইতে মূল এজেন্ডা হিসেবে কাজ করছে অর্থনীতি। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগের জন্য ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন চাপ অব্যাহত রেখেছেন।

এর ফলে মুদ্রাস্ফীতিসহ চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে ইরান। গত দুবছরে ১০ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে তেহরানে।

গতবছর ২০১২ সালে নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির তেল রপ্তানি কমেছে ৪০ শতাংশ এবং দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছেন ৪ কোটি মানুষ। এছাড়া গত মে মাসে মুদ্রা নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে প্রত্যেক প্রার্থীই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

তবে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন না কেউই। এ অবস্থায় ইরানের অর্থনীতির চাকা সচল করতে নব প্রেসিডেন্টের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়