শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ভবনের সামনে সর্বস্তরের ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী জনতা ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আয়োজিত এক পদযাত্রার শুরুতে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, “বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। রানা প্লাজার মতো ঘটনার পর যে অবস্থার পরিবর্তন আশা করা হচ্ছিলো তা দেখা যাচ্ছে না। মালিকদের মনোভাব হলো তারা শ্রমিকদের মালিক, তাই তারাই দেশের অর্থনীতির মালিক।
মালিকদের পক্ষ থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত ছিলো তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। নিখোঁজ, নিহত ও আহত শ্রমিকদের বিষয়ে কি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তারও কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা সংগঠিত হলে মালিকরা এ ধরনের ঔদ্ধত্য দেখাতে সাহস পেত না। আশা করছি শ্রমিকরা সংগঠিত হবেন এবং এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন।”
পদযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আকমল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা সহ অন্যান্যরা।
বিজিএইএ ভবনের সামনে থেকে বেলা সোয়া এগারটায় সাভারের রানাপ্লাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয় পদযাত্রাটি।
বক্তারা বলেন, “রানাপ্লাজার ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। শ্রমিক হত্যার কারণে আজ পর্যন্ত কোনো মালিকের বিচার হয়নি। কারণ মালিক যে দলেরই হোক না কেন সরকার তাকে রক্ষা করে। রাষ্ট্র-সরকার-মালিক মিলে একটি শ্রমিক বিরোধী মৈত্রী জোট তৈরি হয়েছে।”
রানাপ্লাজা ভবন ধসে জড়িত সব খুনি মালিকদের অবিলম্বে শাস্তি নিশ্চিত করা, নিখোঁজ, নিহত ও আহত শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি এবং তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন বক্তারা।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়