মাহবুবুর রশিদঃ
কানাইঘাটের বির্স্তীণ ফসলের মাঠ জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে আমনের সোনালী ধান। যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ। মাঝেমধ্যে বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজের ধানের শীষ। চারিদিকে ভেসে আসছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। চলতি বছরের বন্যায় আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখেন ঘুরে দাঁড়ানোর। আমন ধান চাষ করে সফল হয়েছেন চাষীরা। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে সাফল্যের হাসি ফুটেছে। তাঁরা এখন আনন্দে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,মাঠে মাঠে কৃষকেরা মনের আনন্দে গান গেয়ে ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। কৃষাণীরাও ধান রাখার জন্য মাঠ সাজাতে ব্যস্ত রয়েছেন। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই কারো। কোনো কোনো জায়গায় হারভেস্টার মেশিন দিয়েও ধান কাটতে দেখা গেছে। ইদানীং ধান মাড়াই কলের কদরও বেড়েছে বেশ। তবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জমি আবাদ বেশি হওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে বেশ কয়েকজন কৃষক জানান। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা সোনালী আমন ধানের ফসল সঠিকভাবে যাতে করে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন এজন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
কানাইঘাট পৌরসভার শিবনগর গ্রামের সালমান আহমদ নামের একজন চাষি বলেন,‘অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবছর আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে,এতে আমি খুশি’।
সদর ইউনিয়নের গোসাইনপুর গ্রামের সেলিম উদ্দিন নামের আরেক কৃষক বলেন,‘অনুকূল আবহাওয়া ও ধানের রোগবালাই কম থাকায় অন্য বছরের তুলনায় আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে’।
কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.এমদাদুল হক জানান,‘চলতি বছরের বন্যায় আউশ ধানের ক্ষতি হলেও এবছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আমন ধানের রেকর্ড বাম্পার ফলন উৎপাদন হয়েছে। উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৬১৭ হেক্টর, সে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আমাদের কৃষক ভাইরা ১৫৬২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। কৃষকরা যাতে করে তাদের পাকা ধান নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন এ জন্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে’।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়