Monday, June 3

রাতের অন্ধকারে রিকশা চালান সেই জাহালম

নিউজ ডেস্ক::
ঈদে মিল কর্তৃপক্ষ ১২ সপ্তাহের মধ্যে ৭ সপ্তাহের মজুরিসহ ঈদ বোনাস দিয়েছে শ্রমিকদের। আমি মজুরি হিসেবে পেয়েছি 
মাত্র ৩০০ টাকা। আর কাজে উপস্থিত না থাকায় পাইনি ঈদ বোনাস। এই সামান্য পরিমাণ টাকা পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে পড়েছি। আমার একমাত্র সন্তান দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর জন্য ঈদে একটা নতুন জামা পর্যন্ত কিনতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে রিকশা চালাচ্ছি।
সবার দৃষ্টি এড়িয়ে রাতের অন্ধকারে যাত্রী নিয়ে ফেরেন বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগ করা জাহালম। 
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিনা অপরাধে যিনি তিন বছর কারাভোগ করেছেন এবং দেশব্যাপী এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ছাড়া পেয়েছেন। 
বাংলাদেশ জুট মিলের এ শ্রমিকের কারামুক্তির পর চাকরিটি ফের মিললেও আজও একদণ্ড স্বস্তি মেলেনি। নরসিংদীর পলাশ শিল্প এলাকায় অবস্থিত বিজেএমসির আওতাধীন ওই মিল থেকে ঈদ উপলক্ষে মাত্র ৩০০ টাকা মজুরি পেয়েছেন এ যুবক।
জাহালম বলেন, বিনাদোষে তিন বছর কারাভোগের কারণে শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে বিজেএমসির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে এক মাস আগে মিল শ্রমিকের চাকরিটি ফিরে পেয়েছি।
লোকলজ্জার কারণে দিনের বেলায় চালাতে সংকোচ হয়। রাতে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার অলিগলিতে রিকশা টেনে অতিকষ্টে দিন পার করছি। এত অভাবেও সুখের সন্ধান করে ফেরেন জাহালম। বুক থেকে ওঠে আসা দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখে বলেন, এত কষ্টে চলার পরও সন্তান ও পরিবার-পরিজন নিয়ে এবার ঈদ করতে পারব, এও কম সুখের নয়। গত তিনটি বছর আমার পরিবার আমাকে ছাড়া ঈদ করেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়