Thursday, June 27

আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশন কী নিরাপদ?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক 

সময় এখন প্রযুক্তির। একটু স্পস্ট করলে বললে, সময় এখন ইন্টারনেট বা অন্তর্জালের। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বর্তমানে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক সংস্থাগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় ওয়াই-ফাই কানেকশনের।

স্মার্টফোনের কল্যাণে ইন্টারনেট এখন আমাদের প্রায় নিত্য সময়ের সঙ্গী। বাড়িতেও অনেকেই ইন্টারনেটের জন্য ওয়াই-ফাই কানেকশন ব্যবহার করেন। 
তবে সঠিক ভাবে ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করলে, অন্য কোনো ডিভাইস আপনার কানেকশন ব্যবহার করতে পারে। তার জন্য কিছু নিরাপত্তা অবলম্বন করা দরকার।
ধরুন, আপনার মনে হচ্ছে- ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যাচ্ছে, কয়েক দিন ধরে মাঝে মধ্যেই ইন্টারনেট কানেকশন চলে যাচ্ছে বা অন্য কেউ আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছে কি না। এসব বিষয় কী করে বুঝবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-
১. ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়ার নানা কারণ হতে পারে। সার্ভারের সমস্যা বা ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থায় কোনো ইস্যু হতে পারে। কিংবা কেউ আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, যার দরুণ ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যাচ্ছে।
২. প্রত্যেক ইউজারের একটি অনন্য আইপি(IP) এবং ম্যাক(MAC) অ্যাড্রেস থাকে। সঠিক ইউজার আইডির সঙ্গে রাউটার সংযুক্ত রয়েছে কিনা, তা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই সেটিংসে দেখা যায়। এই ডিভাইসে অনেক সময় অন্যান্য ইউজারের নামও দেখা যায়। অন্য কোনো ডিভাইস আপনার রাউটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, ওয়াই-ফাই-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে কিনা, এসব বিষয় দেখা যাবে।
ওয়াই-ফাই সুরক্ষিত রাখার কিছু পদ্ধতি-
১. একটি জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ডব্লিউপিএ২ হল একটি নতুন এনক্রিপটেড প্রোটোকল। এটা আগের প্রোটোকলগুলির থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত, যেমন: ডব্লিউপিএ, ডব্লিউইপি ইত্যাদি।
একজন ইউজার হিসেবে আপনাকে রাউটারের মধ্যে ডব্লিউপিএ২ প্রোটোকলটিকে স্থাপন করতে হবে। যদি সমস্যা হয় এই ব্যপারে ইন্টারনেট দেওয়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
২. বেশির ভাগ ওয়াই-ফাই রাউটারে দুই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস থাকে। ১৯২.১৬৮.১.১ অথবা ১৯২.১৬৮.২.১। এই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস থাকলে, যে কোনো ব্রাউজার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। রাউটার প্রস্তুতকারী সংস্থা লগইন এবং পাসওয়ার্ড-এর জন্য যথাক্রমে 'রুট' এবং 'অ্যাডমিন' এই শব্দ দুটি বেশি ব্যবহার করে। 
অতএব একবার কোনো ব্যক্তি এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করলে তার পক্ষে রাউটার ব্যবহার করা সহজ হয়ে যাবে। সেজন্য সব সময় রাউটার ইনফরমেশন পরিবর্তন করা বাঞ্চনীয়।
৩. রাউটারের উপর একটা কোড থাকে, এটিকে এসএসআইডি(সার্ভিস সেট আইডেন্টিফায়ার) বলে। এই কোডটিকে হাইড করে দিলে নেটওয়ার্কেল সুরক্ষা বাড়বে।
৪. বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করলে বোঝা যায় অন্য কোনো ডিভাইস রাউটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা। এর মধ্যে একটি এয়ারস্নেয়ার।
সূত্র: আনন্দবাজার

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়