নিউজ ডেস্ক:
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে পাকে ঘোষণা করেছেন,
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
‘নিশ্চয় মুনাফিকরা জাহান্নামের
সর্বনিম্নস্তরে অবস্থান করবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনো কোনো সাহায্যকারী
পাবে না।’ (সূরা নিসা : আয়াত ১৪৫)
আর জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তরকে বলা হয়
‘হাবিয়া’। জাহান্নামের গভীরতা তথা নিম্নস্তর সম্পর্কে প্রিয় নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে পাকে বিশদ বর্ণনা করেছেন।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত তিনি বলেন আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর কাছে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে আমরা একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম, তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা জান এটা কিসের
শব্দ?’ আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, ‘ইহা
একটি পাথরের শব্দ; যা সত্তর বছর আগে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর তা
আজ জাহান্নামের তলদেশে গিয়ে পৌছল।’ (মুসলিম)
আল্লাহ তায়ালা মুনাফেকদের জাহান্নামের সেই গভীর তলদেশে শাস্তি প্রদান করবেন। যেখানে ভয়াবহতা হবে মহা কঠিন।
কোরআনে মুনাফেকদের অবস্থান ও শাস্তি
সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের উল্লেখিত হাদিসে জাহান্নামের গভীরতার বর্ণনাই প্রমাণ করে যে,
মুনাফেকদের শাস্তি হবে ভয়াবহ এবং মারাত্মক।
হজরত হুযাইফা ইবনে ইয়ামা রাদিয়াল্লাহু আনহু
বর্ণনা করেন, নেফাক বা মুনাফেক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের যুগে ছিল আজকের দিনেও আছে, আর সেটা হলো ঈমানের পরে কুফরি করা
অর্থাৎ ঈমান প্রকাশ করে আল্লাহর দীনের বিরোধী কাজ করা। (বুখারি)
আর এ কারণেই আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যারাই
নেফাক তথা আল্লাহর দ্বীনের বিরোধিতা করবে জাহান্নামের তলদেশেই তাদের জন্য
রয়েছে মারাত্মক কঠিন শাস্তি। আর সেখানে তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারীও থাকবে
না।’
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম
উম্মাহর সবাইকে রমজান মাসসহ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নেফাকি তথা কপটা থেকে
মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।
ইসলামের বিধি-বিধান যথাযথ পালনসহ সত্য কথা বলা, আমানতদারীতা রক্ষা করা, ওয়াদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়