Thursday, May 23

ইতিকাফের করণীয় বর্জণীয়

মাওলানা ওমর ফারুক::

গতকাল আলোচিত হয়েছে ইতিকাফের ফজিলত ও প্রকার নিয়ে। আজ ইতিকাফকারীর করণীয় ও বর্জণীয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। 

বিশুদ্ধভাবে ইতিকাফ পালনের মাধ্যমেই ইতিকাফের প্রকৃত ফজিলত অর্জন করা সম্ভব।  
ইতিকাফের শর্ত : ইতিকাফের শর্ত ৩টি। যথা, ১. যে কোনো মসজিদে নিয়মিত জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা হয়, এরুপ কোনো মসজিদে পুরুষদের অবস্থান করতে হবে। মহিলারা আপন ঘরে পর্দার সঙ্গে ইতিকাফ করবে। ২. ইতিকাফের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে। কারণ বিনা নিয়তে ইতিকাফ হয় না। ৩. ইতিকাফকারীকে সর্বদা পাক-পবিত্র থাকতে হবে। 
ইতিকাফের নিয়ত : ইতিকাফের জন্য মসজিদে প্রবেশের সময় নিয়ত করে নিতে হয়। নিয়ত : ‘নাওয়াইতু আন সুন্নাতুল ইতিকাফ-মাদুমতু হাজাল মাসজিদ।’ এই নিয়ত করে মসজিদে প্রবেশ করে এক কোণে বিছানা বিছাতে হবে। যাতে নামাজি মুসল্লিদের যাতায়াত বা নামাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। 
ইতিকাফে করণীয় : ইতিকাফ অবস্থায় করণীয় হচ্ছে, ১. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির-আজকার করা, ২. নফল নামাজ আদায় করা, ৩. কোরআন তেলাওয়াত করা, ৪. দ্বীনি ওয়াজ-নসিহত শোনা ও ৫. ধর্মীয় গ্রন্থাবলী পাঠ করা।
 
ইতিকাফে বর্জনীয় : ইতিকাফ অবস্থায় যেসব কাজ বর্জনীয়, ১. ইতিকাফ অবস্থায় বিনা ওজরে মসজিদের বাইরে যাওয়া, ২. দুনিয়াবি আলোচনায় মগ্ন হওয়া, ৩. কোনো জিনিস বেচাকেনা করা, ৪. ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ করা, ৫. ওজরবশত বাইরে গিয়ে প্রয়োজনাতিরিক্ত বিলম্ব করা ও ৬. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা। এসব কাজ করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়।
 
মহিলাদের ইতিকাফ : পুরুষ যেমনভাবে মসজিদে ইতিকাফ করবে তেমনি মহিলারাও তাদের নিজ নিজ গৃহে ইতিকাফ করবে। নারীদের জন্য ইতিকাফ জায়েজ ও বৈধ। তবে ইসলামের প্রথম যুগে মহিলারা যেমন অবাধে মসজিদে ইতিকাফ করতেন, বর্তমান সময়ে ফেতনার আশঙ্কায় তা জায়েজ নয়। বরং মহিলারা ঘরে নিজ কক্ষে ইতিকাফ করবে। হজরত ওমর ও হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীস। তারা বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর (সা.) ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারী) 

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়