কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে গত কয়েক বছরে শীতের দেশ হিসেবে পরিচিত কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার সিরীয় নাগরিক। কিন্তু শীতকালটা মোটেই সুখকর নয় সিরিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের অধিবাসীর জন্য। এখানে নভেম্বরের শুরুতেই একেবারে জেঁকে বসে শীত।
এ সময় তাপমাত্রা চলে যায় হিমাঙ্কের নিচে। সচরাচর মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকে। তবে মাঝে মাঝে মাইনাস ৩০ এমনকি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। বাইরে বরফের পুরু চর পড়ে। আবহাওয়ার এই চরম অবস্থার মধ্যে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানে নির্ঘাত মৃত্যু।
জীবনের তাগিদে এই মরণ শীতেও বাঁচার সংগ্রাম করে যাচ্ছে সিরীয় শরণার্থীরা। চরম পরিবেশের মধ্যে প্রতিদিনই একটু একটু করে বাঁচতে শিখছে তারা।
কানাডায় আশ্রয় নেয়া সিরীয়দের একজন জিয়াদ আম্মার। ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে অন্যতম প্রধান শহর মন্ট্রিলে এসে পৌঁছান তিনি। এখানে আসার আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কারাগারে তিন মাস ছিলেন। নির্যাতন আর পর্যাপ্ত খাবার না খেতে পেয়ে তার শরীর ছিল জীর্ণশীর্ণ আর দুর্বল।
কানাডার শীত সহ্য করার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই উপযুক্ত নয় এই শরীর। দ্য গার্ডিয়ানকে নিজেই সে কথা জানান জিয়াদ।
বলেন, ‘পুরো একটি মাসের জন্য যা কিছু দরকার তার সবকিছুই কিনে ফেলি আমি। এরপর আর ঘরের বাইরে বের হইনি। জিয়াদের বাড়ি ভূমধ্যসাগরের পারে সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে। কানাডায় যে শীতের মুখোমুখি হয়েছেন জীবনে এমন শীত দেখেননি তিনি। কানাডায় তার বাড়ির সামনে এখন যে তুষারের চর পড়ে সেটাও কখনও দেখেননি। প্রথম খুব কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়