কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস আছে জনগণ ভোট দেবে এবং আমরা আবারও সরকার গঠনের সুযোগ পাবো।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৫টি জেলায় নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।
প্রথমে তিনি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেন। নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের এই চরিত্র বদলাতে হবে। দেশবাসীকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। তাই জনগণ যেন সবাই এক হয়ে থাকে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৫টি জেলা টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা ও পঞ্চগড়ের নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
এসব কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট জেলার আওয়ামী লীগ নেতারা এবং নির্বাচনি এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আগামী রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অবনতি যেন না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্বাচন ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে সারাদেশে মাঠে নজরদারি করছে র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সব মিলিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ছয় লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। নির্বাচনের পর ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারের ৬৩৭ জন কর্মকর্তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। তারা নির্বাচনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ এবং নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করবেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়