Thursday, November 22

কানাইঘাটে পিএসসিতে আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী পরিচয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলায় আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে প্রবেশ পত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে পিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কানাইঘাট জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে চাপনগর আনন্দ স্কুল, দক্ষিণ জুলাই, জুলাই নয়ামাটি, পীরনগর ও পশ্চিম কুওরেরমাটি আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির কয়েকজন ও কানাইঘাট সরকারি কলেজের একজন, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, জুলাই উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট আইডিয়াল স্কুল ও বিভিন্ন মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রক্সির মাধ্যমে আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী পরিচয়ে পিএসসি পরীক্ষায় প্রবেশ পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। 

গত মঙ্গলবার পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে এলাকার সচেতন মহল দেখতে পান চাপনগর আনন্দ স্কুল সহ অন্যান্য আনন্দ স্কুলের পিএসসি পরীক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে ৩০/৩৫ জন কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রবেশ পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এসময় কেন্দ্র থেকে ৬/৭ জন ভূয়া শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার পরও বর্তমানে অনেকে পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পরও কর্তৃপক্ষ এসব ভূয়া পরীক্ষার্থী ও আনন্দ স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় এসব আনন্দ স্কুলের কোন অস্তিত্ব নেই । বেতন-ভাতা সহ সরকারের সব ধরনের সুযোগ গ্রহণ করে এসব আনন্দ স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে স্কুল ঠিকিয়ে রাখার জন্য পিএসসি পরীক্ষায় কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আনন্দ স্কুলের নামে কলেজ, মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা বৃহস্পতিবার জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত শাহিন মাহবুব কে সেখানে পাঠান, এবং এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে এবং এর সাথে জড়িত আনন্দ স্কুলের শিক্ষক ও জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২২ নভেম্বর ২০১৮

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়