Thursday, February 22

৭ মাসে মাছ রপ্তানিতে আয় ২৩৩৯ কোটি টাকা

17.jpg


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা; যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬.০৯ শতাংশ বেশি। আর অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মোট হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয়ের ৮৩.৯৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এতে জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৭ মাসে ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬.০৯ শতাংশ বেশি।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ৭.৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩২ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরেরর প্রথম ৭ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮.৬৪ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় ৫৯.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬.৯২ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৩.৩৮ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর এই সময়ে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪.৫৩ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি আয় ৩.১৯ শতাংশ বেড়েছে।

আলোচ্য সময়ে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৪০ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়