ঢাকা: সরকারি ক্যামেরা কিনতে জার্মানি যাওয়া হচ্ছে না তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের। একটি ক্যামেরা দেখতে তিন কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রার খবর প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড়ের মুখে বাতিল করা হয়েছে তার যাত্রা।
তবে বাকি দুই সরকারি কর্মকর্তা কালই ঢাকা ছাড়ছেন জার্মানির উদ্দেশে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই দুই কর্মকর্তা হলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহা. শিপলু জামান।
জানতে চাইলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেশিকিছু বলতে পারবো না। তবে আমি বিদেশ যাচ্ছি না।’
গত ২১ জুলাই ঢাকাটাইমসে ‘ক্যামেরা ক্রয়: জার্মানিতে তিন কর্মকর্তার ‘প্রমোদভ্রমণ’-এর আয়োজন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, এই সংবাদ প্রকাশের পর তথ্য মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। সময় পেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনিয়ে খোশগল্পেও মাতেন মাঝে মধ্যে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের সফর বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কর্মকর্তাদের বিদেশভ্রমণে যে ব্যয় হবে তা দরপত্রের মোট টাকার মধ্যে আগে থেকেই হিসাবে করে ধরা হয়েছে। কর্মকর্তারা নিজেদের টাকায় নয়, ক্যামেরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের খরচেই বিদেশ যাচ্ছেন।’
ক্যামেরা ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে গত ১৪ জুলাই উপসচিব নিলুফার নাজনীন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে একসেট ডিজিটাল ক্যামেরা ও সরঞ্জামাদির প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের নিমিত্ত জার্মানিতে গমনের জন্য নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের অনুকূলে (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করছি।’
প্রজ্ঞাপনে ভ্রমণের শর্তে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ভ্রমণ বলে গণ্য হবে। ভ্রমণকারীরা দেশীয় মুদ্রায় বেতন-ভাতাদি পাবেন। তাদের যাবতীয় ব্যয়ভার আয়োজক সংস্থা বহন করবে। অনুমোদিত সময়ের অতিরিক্ত সময় তারা বিদেশে অবস্থান করতে পারবেন না। ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে সাত দিনের মধ্যে যথাযথভাবে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
কেবল এবারই নয়, নানা সময় কেনাকাটা বা অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশে ভ্রমণের রীতি আছে। একে সরকারি কর্মকর্তারাই ‘প্রমোদ ভ্রমণ বলে থাকেন। কখনো কখনো পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ে যান কর্মকর্তারা। আর নানা কৌশলে সেই টাকাও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আদায় করেন তারা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে নানা সময় সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু এই রীতি এখনো চালু আছে।
(ঢাকাটাইমস/
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়