Sunday, July 31

সাগরের ঢেউয়ে বিলীন হচ্ছে ঝাউবাগান


কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে জোয়ারের পানির ধাক্কায় প্রাণ যাচ্ছে ঝাউগাছের। জোয়ারের পানি থেকে ঝাউগাছকে রক্ষার কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে সৈকত পাড়ের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকারী এসব ঝাউবাগান এখন বিলীনের পথে। ইতোমধ্যে সাগরের জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে শতাধিক ঝাউগাছ। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঝাউগাছের গোঁড়ালি থেকে বালি সরিয়ে ফেলে সেগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। এভাবে চলতে থাকলে সৈকতের সৌন্দর্য্য বিলীনের পাশাপাশি পরিবেশ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে সৈকতের ডায়াবেটিক, সুগন্ধা, শৈবাল, লাবণী, কলাতলী ও সি-ইন পয়েন্টে দেখা গেছে, একের পর এক সাগরের বালিয়াড়িতে উপড়ে পড়ে আছে ঝাউগাছের গোড়ার অংশ। বিশেষ করে প্রবল জোয়ারের পানিতে সৈকতের ঝাউগাছের গোড়া থেকে বালি সরে যাওয়ায় গাছগুলোর এ অবস্থা হয়েছে। এদিকে বনবিভাগের কোনো নজরদারি না থাকায় গাছগুলো রাতের অন্ধকারে, আবার অনেক সময় দিনে দুপুরেও কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, টেকনাফের সাবরাং থেকে বাহারছড়া শামলাপুরের অবস্থাও করুন। এখানে প্রায় ৫৪০ হেক্টর জায়গায় ১৯৯৩-৯৪ সালে এসব ঝাউগাছ লাগানো হয়। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবনিয়া পাড়া, হাজমপাড়া, মহেশখালিয়াপাড়া, তুলাতলি, মিঠাপানিরছড়া, রাজারছড়া, সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া, মুন্ডাল ডেইল, খুরেরমুখ, কাটাবনিয়া, হাদুরছড়া, নয়াপাড়া, বাহারছড়ার ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাড়া, মাথাভাঙ্গা, দক্ষিণ শীলখালী, জাহাজপুরা, বড়ডেইল, শামলাপুরসহ হুমকির মুখে পড়েছে সৈকত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টের অসংখ্য ঝাউগাছ। এসব স্থানে অনেক গাছের গোড়া থেকে দুই-তিন ফুট পর্যন্ত বালি সরে গিয়ে শিকড় বেরিয়ে পড়েছে। আশপাশে উপড়ে পড়ে আছে গাছের গোড়া। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, সমুদ্র সৈকতের ঝাউগাছ বিলীন হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের এলাকা। এসব স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ না দিলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকতা আলী কবির জানান, সৈকতের পরিবেশ রক্ষা এবং ঝাউগাছের প্রাণ রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। (ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়