Friday, April 29

কোরআন বোঝার স্বীকৃত পদ্ধতি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনে কারিম মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। আল্লাহ তায়ালা এতে মুসলমানদের জীবনযাপনের যাবতীয় পদ্ধতি মৌলিকভাবে বলে দিয়েছেন। হজরত জিবরাইলের (আ.) মাধ্যমে কোরআন সরাসরি রাসুলের (সা.) ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর রাসুল (সা.) তা সাহাবায়ে কেরামকে পাঠ করে শুনিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তা অবিকৃতভাবে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। পৃথিবীতে একমাত্র গ্রন্থ যাতে আজ পর্যন্ত বিন্দুমাত্রও বিকৃতি আসেনি। সেই কোরআন বোঝার প্রথম ধাপ হলো তা সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়া। আর কোরআন বোঝার জন্য কোনো শিক্ষক বা মুরব্বির প্রয়োজন। কোনো শিক্ষক ছাড়া সঠিকভাবে কেউ কোরআন বুঝতে পারবে না। নবী করিম (সা.)কে পাঠানোর অন্যতম উদ্দেশ্য মুমিনদের কিতাবের তালিম দেয়া। কাকে তালিম দেবেন? আবু বকর সিদ্দিক, ওমর ফারুক, ওসমান গনী ও আলী (রা.)-কে? তাঁরা কি আরবি ভাষা জানতেন না? তাদের প্রত্যেকেই তো আরবি ভাষায় এক একজন পণ্ডিত ছিলেন। সুতরাং আরবি ভাষা শেখার জন্য বা এর অনুবাদ জানার জন্য কোনো শিক্ষকের প্রয়োজন ছিল না। অথচ নবী করিম (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা পাঠিয়েছেন কিতাবের তালিম দেয়ার জন্য। এর দ্বারা জানা গেল নিছক তরজমা জেনে নেয়ার দ্বারা কিতাবুল্লাহ বুঝে আসবে না, এর দ্বারা কোরআনের ইলম হাসিল হবে না। আজকাল অনেকেই বলেন আমার কোনো শিক্ষকের দরকার নেই, আল কোরআনের অনুবাদ দেখেই আমি কোরআন বুঝে নেব। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা, কোন কোরআনের তালিম দেয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (সা.)-কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন? তিনি ৩৩ বছর পর্যন্ত তালিম দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম এর ওপর নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাবেয়ীনরা এটা সংরক্ষণ করে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এসব বিষয়কে পাশ কাটিয়ে কেউ কেউ বলে আমাদের এসব বিষয়ের দরকার নেই। আমি যা বুঝবো এটাই হলো সহীহ। তাহলে তাদের চেয়ে বড় গণ্ডমূর্খ আর কে হতে পারে! কোরআনের প্রথম হক হলো তা বিশুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা। এরপর মুরব্বির মাধ্যমে তা বোঝা। তবে এরও আগে দরকার আখলাকের পরিশুদ্ধি। কারণ কোরআন একটি নূর। আখলাকের পরিশুদ্ধি ছাড়া কোনো নূর ভেতরে ঢুকতে পারে না। মনে রাখতে হবে, কোরআন গতানুগতিক কোনো গ্রন্থ নয়। গতানুগতি ধারায় পড়লেই তা বুঝে আসবে না। এজন্য কোরআন শিখতে এবং বুঝতে হবে শরিয়তের নির্দেশিত পন্থায়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়