Thursday, March 17

বঙ্গবন্ধুর কারণেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ


ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দেশের মাটি ও মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন। তিনি সারাদেশ ঘুরে ঘুরে মানুষের অবস্থা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।প্রতিটি পরিবারের হাড়ির খবর রাখতেন।বঙ্গবন্ধু মনে করতেন এই মানুষগুলো বাঁচলে দেশ বাঁচবে,সমাজ বাঁচবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে সাড়ে ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় শিশু কিশোরদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, আমাদের পরিবারের অতীত খুব ভালো নয়। আমরা বাবার আদর সেভাবে পাইনি। সব সময় আমরা তাকে কারাগারেই দেখেছি। স্কুল থেকে ফেরার সময়, স্কুলে যাওয়ার সময় আমরা আমার বাবাকে দেখেছি কারাফটকে। বাংলাদেশকে নিয়েই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। এই জাতির মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি তা করতে পরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদেরকে আমরা ১৯৭১ সালে পরাজিত করেছি সেই পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যা করে। তখন আমরা বিদেশের মাটিতে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি। কিন্তু আমরা তখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। ওই দিন রাতে আমারে নিকট আত্মীয় কাউকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। একরাতে একাধিক পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। ওরা বাঁচতে দেয়নি ছোট্ট রাসেল ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও। ওদের থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান কারাগারের ভেতরে থাক চার জাতীয় নেতাও। প্রধানমন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ জন্য শিশুদেরকে পড়াশোনা করতে হবে, পিতা-মাতা-শিক্ষক-গুরুজন-বড়দের কথা শুনতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শিশুদের উপদেশ দিয়ে বলেন, শিক্ষা এমন একটা জিনিস যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, লুট করতে পারবে না। শিশুদেরকে বলব- তোমরা মন দিয়ে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করো। তাহলে এ দেশ বাঁচবে এই সমাজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক যখন প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করছিলেন তখন তাঁর কণ্ঠ মাঝে মধ্যেই ভারী হয়ে আসছিল।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়