ঢাকা: রাত পোহালেই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জনের দিন। ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল পূর্ব দিগন্তে রক্তিম সূর্য উঁকি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার উল্লাসে মেতে উঠবে পুরো জাতি।
প্রতিবারের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসের আগে বর্ণিল আলোকধারায় সেজেছে রাজধানী। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক, স্থাপনা, অফিস-আদালতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর লাল সবুজের আলোতে আলোকিত হয়ে উঠেছে পুরো রাজধানী।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন বর্ণিল আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। এছাড়া শাপলা চত্বর এলাকায় সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, জীবন বিমা ভবনসহ বড় বড় স্থাপনা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এছাড়া রাজধানীর সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, জাতীয় সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, দীর্ঘ ৯ মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়